<p>মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতার সুযোগ্য নির্দেশনায় দেশ স্বাধীনের মাত্র এগারো মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। এটি পৃথিবীর অন্যতম লিখিত শ্রেষ্ঠ সংবিধান। এই সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।</p> <p>রবিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন, যুক্তরাজ্য আয়োজিত ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবসের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।</p> <p>তিনি বলেন, 'যুক্তরাজ্যের সাথে রয়েছে আমাদের গভীর সম্পর্ক। দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে  ভারতে যাত্রা বিরতি করে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা বাংলাদেশীরা দেশের উন্নয়নেও বড় ভূমিকা রাখছেন।'</p> <p>বাঙালি জাতির ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, "১৯৭২ সালের এই দিনে গণপরিষদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তীতে ৪ নভেম্বরকে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস' হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যা আমাদের গর্ব।"</p> <p>প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা লন্ডনস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এ সময় দূতাবাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফসহ আরো অনেকে।</p>