২২ বছর পর গত বছরের শেষদিকে কৃষক দলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটি হওয়ার পর সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে দেশব্যাপী দল গোছাচ্ছে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল। শুরু হয়েছে সাংগঠনিক সফর, জেলায় জেলায় বর্ধিত সভা-প্রতিনিধি সভা। কেন্দ্রীয় নেতারা ব্যস্ত দলকে শক্তিশালী করতে।
বিজ্ঞাপন
কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা অনেক বেশি। বিএনপির অন্য অঙ্গসংগঠন যেখানে বছরের পর বছর দায়িত্ব পেয়েও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ সেখানে আংশিক কমিটি ঘোষণার মাত্র আড়াই মাস পর ২৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছে কৃষক দল।
যার হাত ধরে মৃতপ্রায় কৃষক দল বিএনপির সবচেয়ে শক্তিশালী অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে তিনি শহীদুল ইসলাম বাবুল। যার রাজনীতিতে আগমন ছাত্রদলের মাধ্যমে। দায়িত্ব পালন করেছেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতির। ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক হিসেবে দেখিয়েছেন সফলতা। যার পুরস্কারস্বরূপ তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কৃষক দলকে সংগঠিত করতে। তার ওপর বিএনপির নীতিনির্ধারকরা যে আশা করেছিলেন তিনি তার আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন।
কৃষক দলের সংগঠনিক কার্যক্রমে খুশি দলের নীতিনির্ধারকরা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জবরদখল করে দেশে যে ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় বসে আছে, তাদের সরাতে ভূমিকা রাখবে কৃষক দল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গৃহবন্দি আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন এবং বিদেশে নির্বাসিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও কৃষক দল ভূমিকা রাখবে। ’
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনাসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে কৃষক দল সামনের কাতারে থাকবে বলে জানান জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।