দুদকের করা মামলায় সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হাফিজা খানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ৮৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম বিষয়টি কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিন জামিনে থাকা আসামি হাফিজা খান আদালতে উপস্থিত হন। আদালত তার উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৮ সালের ১৮ মার্চ রমনা থানায় দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদুর রহমান বাদী হয়ে হাফিজা খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর গত ২০ এপ্রিল এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ১৫ মে দিন ধার্য করেন। তবে সেদিন সরকারি ছুটি থাকায় রায়ের জন্য ২৪ মে দিন করেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, আসামি হাফিজা খানের নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। আসামির স্বামী মো. সেলিম মোল্লার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হলে আসামি হাফিজা খান তার সম্পদ গোপন করার জন্য ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আয়কর নথি খুলে ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। কারণ হাফিজা খান তার ব্যবসা করা সংক্রান্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তার ব্যবসা করার কোনো প্রতিষ্ঠানও নেই। তদন্তে আসামি হাফিজা খানের বিরুদ্ধে ৮৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ২৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক।