এডিস নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৫ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১০টি অঞ্চলে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের চতুর্দশ বোর্ডসভায় তিনি এসব তথ্য দেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা মনে করি যে আমাদের আরো করণীয় রয়েছে এবং সেভাবেই আমরা এবারের কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি।
বিজ্ঞাপন
গতবারের তুলনায় এবার বেশি সময় ধরে চিরুনি অভিযান তদারকি করা হবে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, "গতবার আমরা এক মাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করেছিলাম। এবার সেটা আমরা দুই মাস ধরে পরিচালনা করব এবং এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা চিরুনি অভিযানগুলো তদারকি করব। "
এ সময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আপনারা যারা বাসাবাড়ির মালিক, স্থাপনার মালিক এটা আপনাদেরই দায়িত্ব যে আপনার আঙিনায়, ছাদে, টবে, পরিত্যক্ত মালামালের মধ্যে যাতে কোনো পানি না জমে। বৃষ্টি হলে কোথাও পানি জমেছে কি না সেটা দেখবেন। পানি জমে থাকলে সেটা ফেলে দিন। তিন দিনের জন্য অপেক্ষা না করে নিয়মিত প্রতিদিন জমা পানি ফেলে দিন। "
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তুলনামূলক সফলতার জন্য ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বোর্ডসভায় কাউন্সিলরদের ধন্যবাদ জানিয়ে এবার আরো বেশি সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বোর্ডসভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।