মুফতি শফিকুর রহমান।
প্রথমে করেন নাম পরিবর্তন। মুফতি শফিকুর রহমান নাম বদল করে হয়ে যান আব্দুল করিম। এরপর নরসিংদীর বিভিন্ন মাদরাসায় এ নামে শিক্ষকতা শুরু করেন। ছদ্মনামেই ওই এলাকার একটি মসজিদে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে ইমামতি করতেন শফিকুর।
বিজ্ঞাপন
আজ শুক্রবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
২০০১ সালে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় জড়িত মুফতি শফিকুর রহমান। তিনি এসব ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন বলে র্যাবের কাছে স্বীকারও করেছেন।
শফিকুরের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে কমান্ডার মঈন বলেন, শফিকুর নাম বদল করে হন আব্দুল করিম। নরসিংদীর বিভিন্ন মাদরাসায় এ নামে শিক্ষকতা করেন। ছদ্মনামেই ওই এলাকার একটি মসজিদে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে ইমামতি করতেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রমনা বটমূলে হামলার পর ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি আত্মগোপনে থেকে সংগঠনের (জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ) সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন। ২০০৮ থেকে নরসিংদীতে একটি মাদরাসায় কাজ শুরু করে। আত্মগোপনে থেকে ইমামতির আড়ালে ধর্মের নামে বিভ্রান্তিমূলক অপব্যাখ্যা প্রচার করতেন এই জঙ্গি নেতা। ’
কমান্ডার মঈন আরো বলেন, ‘পলাতক থাকাকালে শফিকুর অত্যন্ত কৌশলে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন স্থানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতেন। ’