বামে সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ ও ডানে সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ১৯তম কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন মুক্তা বাড়ৈ ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শোভন রহমান।
আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে ফ্রন্টের ১৮তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি আল কাদেরী জয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন রায়হান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব কান্তি রায় এবং দপ্তর সম্পাদক অনিক কুমার দাস।
বিজ্ঞাপন
সদস্য হয়েছেন যুগেশ ত্রিপুরা, ধনঞ্জয় বর্মণ, রেহনোমা রুবাইয়াৎ, লাবনী সুলতানা, বিশ্বজিৎ নন্দী, রিনা মুর্মু, আনারুল ইসলাম, ফজলুল হক রনি, হারুন অর রশীদ, আবু সাইদ, লাবনী বন্যা, রিদম শাহরিয়ার এবং বিজন শিকদার।
এর আগে, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে একটি ছাত্র সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পরবর্তীতে টিএসসি মিলনায়তনে এই আয়োজন স্থানান্তরিত করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। আল কাদেরী জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্সের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ডাকসুর সাবেক সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিখিল দাস, সাবেক সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, ইমরান হাবিব রুমন প্রমুখ।
সমাবেশের আগে সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি র্যালি বের করেন। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, শাসকশ্রেণি আজ শিক্ষাধ্বংসের সকল প্রকার চক্রান্ত জারি রেখেছে। করোনা মহামারিকে অযুহাত হিসেবে দেখিয়ে সরকার আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিল। বাণিজ্য মেলা চলছে, অথচ শিক্ষার্থীদেরকে বলছে অনলাইন ক্লাস করতে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র আজ ভুলন্ঠিত। সামান্য ভোটও আর এই পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারছে না। আজকে ছাত্রদেরকে যেমন নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠিত হতে হবে। একইসঙ্গে গণতন্ত্রের সংগ্রামকেও জোরদার করতে হবে।