অনুমোদিত বেসরকারি মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্তের সময়সীমা নির্ধারণে প্রবিধান করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের এক রায়ে। একইভাবে কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে, সে সময়সীমাও নির্ধারণ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরিবিধি অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করে। রায়ে আদালত বলেছেন, কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠার কারণে যদি ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বা কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় তবে সাময়িক বরখাস্ত বা ব্যবস্থা নেওয়ার দিন থেকে ১৮০ কার্যনদিবসের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করতে শিক্ষা সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।
১৪ বছর ধরে সাময়িক বরখাস্ত থাকা এক শিক্ষকের করা রিটে দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করে গত বছর ৯ সেপ্টেম্বর এ রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আজ সোমবার রায়টি প্রকাশিত হয়েছে বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির।
মাগুরা উপজেলা সদরের বাহারবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. বাদশা মিয়াকে অতিরিক্ত বেতন নেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালে সামরিক বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘ ১৪ বছরেও সে অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০১৭ সালে বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বাদশা মিয়া।
সে আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বেসরকারি শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্তের সময়সীমা নির্ধারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে আদালত রুল জারি করেন আদালত। সেই রুল শুনানির পর নিষ্পত্তি করে রায় দেন উচ্চ আদালত।
আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, যদি শিক্ষক বাদশা মিয়ার বয়স থাকে তবে বরখাস্তের তারিখ থেকে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ তাঁকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে পুনর্বহাল করতে। '
রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।