মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আবদুল হামিদ বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অপরাধের ধরন ও কৌশলে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে। অপরাধীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে সাইবার অপরাধ সংঘটন করছে, যা প্রতিরোধ করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় পুলিশের তথ্য-প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে বর্তমান সরকার ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে, যার মাধ্যমে এ বাহিনী আরো জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে জনগণের সেবা নিশ্চিত করবে- এ প্রত্যাশা করি । আমি পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ আয়োজনের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।