বাংলাদেশ কাউন্সিল ও লেবার রাইটস সাংবাদিক ফোরাম (আইটিইউসি) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, দেশে বর্তমানে ৫ হতে ১৪ বছর বয়সী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪৭ লাখ। অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে এখন শিশুশ্রম অনেকটা কমেছে। তবে শিশুশ্রম বন্ধে সুনির্দ্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘শিশুশ্রম নিরসনে ট্রেড ইউনিয়ন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আইটিইউসি চেয়ারম্যান ও শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন।
বিজ্ঞাপন
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাকিল আখতার চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১৩ লাখ। এদের মধ্যে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুর সংখ্যা ৫ কোটি ২৩ লাখ (বিবিএস ২০১৬-১৭)। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য ও অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে।
মূল প্রবন্ধে শিশুশ্রম নিরসনে সকল শিশুদের জন্য শিক্ষার অবারিত সুযোগ তৈরি, দারিদ্রতা দূরীকরণে সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত, শিশু পাচারে জড়িতদের কঠোর শাস্তি প্রদান, সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান জোরদার এবং সরকার, মালিক, ট্রেড ইউনিয়ন, গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারী সামাজিক সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেন তিনি।
সভায় বক্তারা বলেন, আমরা পরিবহন খাতে কোনো শিশু শ্রমিক দেখতে চাই না। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসেও পরিবহন খাতে বহু শিশু শ্রমিক দেখা যায়। বিশেষ করে লেগুনাগুলোতে। পরিবহন খাতে শিশুশ্রম মুক্ত করতে হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও কাজ করতে হবে। কোনো পরিবহনে হেলপার ও ড্রাইভার হিসেবে যেন কোনো শিশু না থাকে সে ব্যাপারে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা যে টাকা পরিশ্রম করে উপার্জন করে, সেই পরিমাণ অর্থ তাদের দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে পাঠাতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, রাজধানীর যেসব এলাকায় আগে অনেক শিশু শ্রমিক কাজ করতো, সেখানে এখন আগের চেয়ে অনেক কমেছে। তবে এখনো যেগুলো আছে, সেগুলো নিরসনে কি করা যায় তা সুস্পষ্ট করে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সরকারকেও এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।