<p>ব্রিটিশ আমলে প্রণীত বিদম্যান পেটেন্ট আইন বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। আজ রবিবার ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল-২০২১’ নামের বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।</p> <p>স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।</p> <p>বিলটি সংসদে উত্থাপনের বিরোধিতা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। তিনি বিলটিকে অদ্ভূত আখ্যা দিয়ে বলেন, আগের আইনে পেটেন্ট ও ডিজাইন দুটি বিভাগ ছিল। উত্থাপিত বিলে শুধু পেটেন্ট আছে। তিনি এর ব্যাখ্যা দাবি করেন।</p> <p>পরে শিল্পমন্ত্রী জবাব দিতে গিয়ে বলেন, বিলটি উত্থাপনের পর সংসদীয় কমিটিতে যাবে। তখন সেখানে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ রয়েছে।</p> <p>সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, নতুনত্ব ও উদ্ভাবনী বিষয় বিদ্যমান থাকলে প্রযুক্তিগত যেকোনো পণ্য উদ্ভাবনী পেটেন্ট যোগ্য হবে, এটা আইনের মধ্যে বিধান রাখা হয়েছে। আবিষ্কার, বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও গাণিতিক পদ্ধতি, ব্যবসা পদ্ধতি, সম্পূর্ণভাবে মানসিক কাজ সম্পাদনের বা খেলাধুলার নিয়মাবলি বা পদ্ধতি এবং এমন কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম পেটেন্ট সুরক্ষার আওতার বাইরে থাকবে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা রক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যবহার রোধ করা প্রয়োজন, এমন উদ্ভাবনসহ আরও বেশ কিছু বিষয় পেটেন্ট সুরক্ষার বাইরে রাখা হয়েছে।</p> <p>প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী পেটেন্ট মালিকের ২০ বছরের জন্য মালিকানা স্বত্ব সংরক্ষিত থাকবে। ২০ বছর পর তা জনগণের সম্পদ হয়ে যাবে। যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের কোনো আদেশ পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে আদালত ক্ষতিপূরণ ধার্য করতে পারবে। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কোনো একটি পেটেন্টের একক বা যৌথ উদ্ভাবনকে আবেদনের ফলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যৌথ উদ্ভাবকের পেটেন্টের সুরক্ষা দেওয়া হবে।</p> <p>বিলে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীনে সংরক্ষিত কোনো নিবন্ধন বইতে মিথ্যা এন্ট্রি তৈরি করে তাহলে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি কোনো ব্যক্তি মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করেন, তার বিক্রিত পণ্য বা ব্যবহৃত প্রক্রিয়া বাংলাদেশে পেটেন্টপ্রাপ্ত বা আবেদন করা হয়েছে তা হলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।</p> <p><strong>বিলের রিপোর্ট উত্থাপন</strong></p> <p>অধিবেশনের প্রথম দিনে ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ৬টি বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। বিলগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (সংশোধন) বিল-২০২১, ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১, বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী বিল ২০২১ এবং মহাসড়ক বিল-২০২১।</p>