<p>দেশে চলমান পরিস্থিতিতে তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনতে ছয়টি সুপারিশসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডরপ) । তারা বলছে, বিদ্যামান তামাক আইনে রয়েছে একাধিক ফাঁক-ফোঁকর। এতে একজন অপরাধীর সহজে পার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই অবিলম্বে দেশের স্বার্থে এই আইন সংশোধন করার দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।</p> <p>আজ ডিজেএফবি ও ডরপ আয়োজিত “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে মিডিয়ার ভূমিকা” শীর্ষক এক ওয়েবনিয়ারে এসব দাবি তোলেন তারা। ডরপ এর মিডিয়া এবং অ্যাডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর আরিফ বিল্লাহ্ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবির সভাপতি এফএইচ এম হুমায়ুন কবীর।</p> <p>ওয়েবনিয়ার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ক্যামপেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস্ এর গ্যান্ডস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিঞা বলেন, “সিফিএফকে এর সহায়তায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। ইতিমধ্যে সবার সম্মিলত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ অইনের সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা মনে করি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের উল্লেখিত দুর্বলতাসমূহ সংশোধন করে আইনটি শক্তিশালী করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাক মুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করা সম্ভব।”</p> <p>তিনি আরো বলেন, “নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এই দাবি সমূহ উত্থাপনে মিডিয়া কর্মীবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।”</p> <p>এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডরপের অ্যাকটিং ডিরেক্টর যোবায়ের হাসান বলেন, “ডিজেএফবি এবং সাংবাদিক বন্ধুগণ সব সময় জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন। তারা গণমাধ্যমে তামাক ও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফিচার, রিপোর্ট, কেস স্টাডি প্রকাশ করেছেন। ফলে আমাদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে জনকল্যাণকর এই কাজ চালিয়ে রাখার অনুরোধ জানাই।”</p> <p>এসময় ডিজেএফবি সভাপতি এফএইচ এম হুমায়ুন কবীর তার বক্তব্যে বলেন,  “ধূমপান ও তামাকবিরোধী কনটেন্ট নিয়ে কাজ করা সব সময়ই চালেঞ্জিং। কিন্তু জনস্বাস্থ্যের সাথে সম্পৃক্ত বলে আমরা এটাকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে আমরা সব সময় বিভিন্ন রিপোর্ট এবং ফিচার প্রকাশ করে করে যাবো।”</p> <p>এর আগে মূল প্রবন্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে ৬টি সংশোধনী সুপারিশ উপস্থাপন করেন ডরপ এর টোব্যাকো কনট্রোল প্রজেক্ট এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম। তাদের ৬টি সুপারিশ হলো- (১) সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করেন (২) তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ (৩) বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক দ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধকরণ (৪) ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা (৫) তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা বিক্রয় বন্ধ করা (৬) সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধিসহ তামাকজাত দ্রব্য মোড়কীকরণে কঠোর নিয়ম আরোপ করা।</p>