<p>চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত কেন্দ্রীয় রেলওয়ে ভবনে (সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং-সিআরবি) হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অন্যত্র হাসপাতাল নির্মাণ এবং সিআরবি’র উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ চেয়ে ৬টি সংগঠন সরকারকে পৃথক দুটি আইনি নোটিশ দিয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফরম এন্ড ডিভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান একটি এবং বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসানের পক্ষে ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম আরেকটি আইনি নোটিশ দিয়েছেন।</p> <p>বুধবার পৃথকভাবে সরকারকে এই দুটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টির দেওয়া নোটিশে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে। আর ৫টি সংগঠনের দেওয়া নোটিশেও সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মান বন্ধ না করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।</p> <p>মন্ত্রিপরিষদ, রেল, ভূমি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান; রেলওয়ে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তর মহাপরিচালক(ডিজি), রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জোনের জিএম, প্রধান বন সংরক্ষক, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির প্রধান নির্বাহী(সিইও), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ ২০ জনকে গতকাল বুধবার এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>৫টি সংগঠনের দেওয়া নোটিশে সিআরবি এলাকা উন্মুক্ত স্থান হিসেবে গণ্য করে কোনো গাছ না কাটা এবং পাশাপাশি কোনো পাহাড় ও টিলা কেটে হাসপাতাল নির্মাণ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ নোটিশে পরিবেশের গুরুত্ব অনুধাবন করে শতবর্ষী গাছ ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য এলাকাটিকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী “বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা”, জাতীয় ঐতিহ্য, স্মারক বৃক্ষ এবং কুঞ্জ বন ও জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্যগত স্থান ঘোষণা এবং শতবর্ষী গাছগুলোকে স্মারক বৃক্ষ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।</p> <p>অপর নোটিশে বলা হয়, গণমাধ্যমের খবর অনুসারে সিআরবি’র ৬ একর জমিতে ৫শ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং একশ শয্যার মেডিকেল কলেজ নির্মাণে এক বেসরকারি কম্পানির সঙ্গে গত ১৮ মার্চ একটি চুক্তি করে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অথচ এই ভবনটি ঐতিহাসিক স্থাপনা ও পরিবেশগত সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তৈরি করা তালিকায় রয়েছে। ফলে সিআরবির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়া সিআরবি এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে শতবর্ষী অনেক পুরোনো গাছ কাটতে হবে। এতে পরিবেশগত মারাত্মক প্রভাব পড়বে। তাই সিআরবিকে সংরক্ষণ করা জরুরি।</p>