<p>ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পরিবেশ দূষণ ও জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে কোনো নির্মাণকাজ করা যাবেনা।</p> <p>আজ বুধবার বিকালে গুলশানের নগর ভবনে রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব এর সাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ, খালের রক্ষণাবেক্ষণ ও অবৈধ দখল সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।</p> <p>তিনি বলেন, ভবন নির্মাণকালে ডিএনসিসির জায়গায় নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য অনুমতি নিতে হবে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি গাইড লাইন খুব শীঘ্রই প্রণয়ন করা হবে।</p> <p>মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, গাইডলাইন কমিটি হবে ৫ সদস্য বিশিষ্ট যাতে ডিএনসিসির ৩ জন এবং রিহ্যাবের ২ জন সদস্য অন্তর্ভূক্ত থাকবে।</p> <p>ডিএনসিসি মেয়র বলেন, হাউজিং কোম্পানিগুলোর অবহেলার কারণে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর উচ্ছিষ্ঠাংশ রাস্তা ও ড্রেনে জমে থাকে এবং জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়।</p> <p>তিনি বলেন, কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করে ভবন নির্মাণ না করার কারণে পরিবেশ দূষণসহ এডিসের প্রজননক্ষেত্র তৈরি হয়।</p> <p>মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রত্যেক বাড়িতেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে।</p> <p>ডিএনসিসি মেয়র বলেন, গুলশান, বনানী ও বারীধারার যেসকল ভবনের বর্জ্য সরাসরি জলাশয় কিংবা ড্রেনে অবমুক্ত করা হয় সেগুলোর নির্গমন পথ কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।</p> <p>মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজাসহ উর্ধবতন কর্মকর্তা এবং রিহ্যাব এর প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামীন কাজলসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।</p>