<p>আগামীকাল সোমবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচজন জয়িতা। তাঁদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হবে।</p> <p>দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ রবিবার (৭ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।</p> <p>বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার কাছ থেকে জয়িতারা সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।</p> <p>জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের নাম ঘোষণা করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, 'এ বছর অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী বরিশাল বিভাগ থেকে বরিশাল জেলার হাছিনা বেগম নীলা। শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হলেন রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার মিফতাহুল জান্নাত। সফল জননী হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার মোসাম্মৎ হেলেন্নেছা বেগম। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করার ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার রবিজান। সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলার অঞ্জনা বালা বিশ্বাস।'</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। টেলিভিশন ও রেডিওতে নারীর অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২১ উপলক্ষে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, অধিকার এবং এ বিষয়ে প্রচার ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।</p> <p>ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশে নারী উন্নয়নের অসামান্য অগ্রগতি, সমতা সৃষ্টি, বৈষম্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, বাল্যবিয়ে বন্ধ, সুরক্ষা, সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ এবং সচেতনতা সৃষ্টিতে দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের রয়েছে গভীত তাৎপর্য। এই ভাষণ সমগ্র জাতিকে উজ্জীবিত করে। তিনি আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে নারীসমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম।</p> <p>মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস (গ্রেড-১), অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও অংশগ্রহণ করেন।</p> <p>প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে দেশে নারীর ক্ষমতায়নের শুরু। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০-৫০-এ উন্নীত করার অঙ্গীকার করেন। তাঁরই নির্দেশনায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থান সব ক্ষেত্রে নারীর আজ সফল অগ্রযাত্রা।</p> <p>ইন্দিরা বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ তা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছে। যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলভুক্ত দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল।</p> <p>প্রতিমন্ত্রী জানান, এবারের প্রতিপাদ্য, 'করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব।' করোনাকালে বাংলাদেশের ডাক্তার, নার্স, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব পর্যায়ের নারীরা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নারীরাই করোনাকে জয় করে সমতার বিশ্ব গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।</p>