জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেছেন, শিশুদের মাঝে বেশি বেশি বঙ্গবন্ধুর চর্চার মাধ্যমে একটি সৃজনশীল জাতি পাবে বাংলাদেশ।
শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠন ‘শৈল্পিক স্বপ্ন’ আয়োজিত মুজিববর্ষ বিজয় দিবস-২০২০’র বিজয়ীদের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একুশে পদক পাওয়া এই গুনী নাট্যজন আরও বলেন, শৈল্পিক চর্চার মাধ্যমে একটি শিশু পরিণত হয় তার সৃজনশীল মেধার বিস্তৃত পরিসরে। তাই শিশুদের মেধার বিকাশে শুধু ক্লাসে বই পড়া নয়, সাংস্কৃতিক ও খেলার জগতেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অরুপ রতন চৌধুরী ( একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক) তিনি বলেন, শিশুরা শুধু পড়াশোনা করলেই বড় হতে পারেনা, প্রয়োজন মেধার সৃজনশীল সাহিত্য সাংস্কৃতিক বিকাশ। সাহিত্য সাংস্কৃতিক বলয়ে যুক্ত থাকা শিশু-কিশোররা কখনো মাদকাসক্ত হতে পারে না বলে মন্তব্য করে তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলাবেতার কেন্দ্রের প্রথম নারী সংগীত শিল্পী নমিতা ঘোষ বলেন, শিশু বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করলেই সে বুদ্ধিদীপ্ত একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।
অনুষ্ঠানে শৈল্পিক স্বপ্’র প্রতিষ্ঠাতা নাজনীন খানমের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এম এম বাদশাহ। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই শিশুদের জন্য স্টেজ পারফরমেন্সের আয়োজন করতে যাচ্ছে শৈল্পিক স্বপ্ন।
পুরস্কার নিতে আসা দেশের বিভিন্ন জেলার শিশুদের উপস্থিতিকে আগামীর বর্নিল প্রজন্ম আখ্যা দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সিনিয়র প্রশিক্ষক ও আবৃত্তি শিল্পী জনপ্রিয় উপস্থাপক রুপশ্রী চক্রবর্তী।
এসময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ও শিশু সংগঠক ‘বিতার্কিক’ আবৃত্তি শিল্পী ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, এই বয়সে শিশুদের এই উদ্যমকে ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। পড়াশুনার পাশাপাশি মানবিক আর সামাজিক গুনাবলীসৃষ্টিকে আরো দৃঢ়চেতা হিসেবে তাদেরকে তৈরী করতে সহায়তা করবে সাংস্কৃতিক চর্চা।
বাংলাদেশ বেতার-বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী ও মিউজিক কম্পোজার আলম মাহমুদ, শিশু কিশোরদের মিলন মেলাকে ফুলের বাগানের সাথে তুলনা করে বলেন এদের মাঝেই আগামীর দেশ নেতারা বসে আছেন।
জনপ্রিয় লেখক ও শিশু সাহিত্যিক এবং সিসিমপুরের মিডিয়া কনসালটেন্ট পলাশ মাহবুব বলেন, পড়াশুনা আর খেলাধুলা সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে যে শিশুরা বেড়ে ওঠে তারা আগামীর জাতির বিনির্মাণে বিশেষ অবদান রাখবে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। আর জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির আবৃত্তি বিভাগের প্রধান আশরাফিয়া আলী আহমদ নানতু বলেন, শুদ্ধ সংস্কৃতির বিকাশের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবো। এজন্য আজকের শিশু কিশোর তোমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে অভিভাবকদেরকেও।
নাবিদ রহমান তুর্য্য ও নওশীন তাবাসসুম তৃণার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর গান, দেশের গান ও কবিতা পরিবেশন করে অনুষ্ঠানে আগত শিশু কিশোররা।
মন্তব্য