নিরাপদ খাদ্য আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার আন্দোলন বাংলাদেশ’। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কামরুজ্জামান বাবলু। বক্তৃতা করেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, সরদার মো. আব্দুস সাত্তার, জেসমিন আরা, নোমান মোশারেফ, আব্দুল আজিজ, ইমাম হাসান, মাহমুদুর রহমান খান বাপ্পী, শামসুজ্জামান নাঈম, রিপন মিয়া ও নজির আহমেদ। এরআগে সংগঠনের উদ্যোগে রাজধানীতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়।
সমাবেশে ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, সরকারের নানামুখী কর্মকান্ডে দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এখনো সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। দেশে খাদ্য ব্যবসায়ে জড়িত কিছু অতি মুনাফাভোগী এবং ভেজালকারীচক্রের দৌরাত্ম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে শুধু ব্যক্তি হিসেবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাই নয়, এতে জাতি হিসেবে আমাদের উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যহত থাকলে আগামীতে জাতি হিসেবে আমরা মারাত্মক সমস্যায় পতিত হবো।
ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, নিরাপদ খাদ্য পাওয়ার অধিকার আমাদের সংবিধান স্বীকৃত। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ নিরাপদ খাদ্যকে ভোক্তার অধিকার হিসেবে নেয় এবং এর ব্যত্যয় সেসব দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হয়। কিন্তু আমাদের দেশে আইনের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে অল্প কয়েকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভেজাল রোধ করা সম্ভব নয়। ভেজাল রোধে আরো বেশি করে সরকারি নজরদারি বাড়াতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রথম দিকের লক্ষ্যমাত্রাগুলোর মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়গুলো আছে। টেকসই উন্নয়ন বলতে যা বোঝায় সেখানে নিরাপদ খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা দু’টিই দরকার। এই বিষয় দু’টি নিশ্চিত করতে না পারলে স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করা যাবে না। তাই নিরাপদ খাদ্য আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তারা আরো বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আইন এবং পৃথক সংস্থা থাকলেও রাজনৈতিক দুবৃর্ত্তায়নের কারণে সৎ ও সাহসী সরকারী কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। সরকার অনেক মেগা প্রকল্পে সফল হলেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে তারা দাবি করেন।
মন্তব্য