করোনাভাইরাসের কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধে দেওয়া ছাড়ের সময়সীমা আর বাড়ছে না। তবে মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধে ‘বিশেষ’ সুবিধা পাবেন ঋণগ্রহীতারা। বকেয়া মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বাড়তি সময় পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল রবিবার এসংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে গত বছরের পুরো সময় ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। ঋণের কিস্তি পরিশোধে ছাড় দেওয়ার এই সময়সীমা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আরো বাড়ানোর দাবি জানানো হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ সভায় তা আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে কেউ ঋণের কিস্তি না দিলে নিয়ম অনুযায়ী খেলাপি হয়ে পড়বেন।
সার্কুলারে বলা হয়, ঋণগ্রহীতার ওপর করোনা মহামারির প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখতে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর এক সার্কুলারের মাধ্যমে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের ঋণ শ্রেণীকরণে ডেফারেল সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, যা এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ঋণের কিস্তি পরিশোধ সহজ করার লক্ষ্যে ১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে বিদ্যমান অশ্রেণীকৃত ঋণগ্রহীতার ওপর কভিডের প্রভাব এবং ঋণের বকেয়া স্থিতির পরিমাণ বিবেচনায় শুধু মেয়াদি ঋণ হিসাবের অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ সময় বাড়ানো যাবে। তবে বর্ধিত সময়সীমা কোনোভাবেই দুই বছরের বেশি হবে না।
করোনা মহামারির কারণে ঋণগ্রহীতাদের সুরক্ষা দিতে গত বছরের এপ্রিলে ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। সরকারের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলার জারি করে জানায়, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। পরে এই ছাড়ের মেয়াদ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ তৃতীয় দফায় তা বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
এদিকে ডিসেম্বর শেষ হওয়ার আগেই ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ঋণ পরিশোধে শিথিলতার মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সময়সীমা না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মন্তব্য