চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের সঞ্চয় শাখার সহকারী পোস্ট মাস্টার-৬ নুর মোহাম্মদ ও কাউন্টার অপারেটর সারোয়ার আলম খান
ডাকঘরের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলার আসামি চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের কাউন্টার অপারেটর সরওয়ার আলম খানের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ আসামিকে আগামী চার মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন আবেদন করা থেকে তাকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি একই মামলার আরেক আসামি চট্টগ্রাম ডাকঘরের সহকারি পোস্ট মাস্টার নুর মোহাম্মদের ক্ষেত্রে একই আদেশ দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
জানা যায়, ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গতবছর ২১ অক্টোবর নুর মোহাম্মদ ও সরওয়ার আলম খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে তাদের জামিন আবেদন খারিজ হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা। কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ওইবছরের ১০ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এই রুল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারাধীন। এ অবস্থায় আগের এই রুলের তথ্য গোপন করে একই হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন নুর মোহাম্মদ। এবারও আদালত গত ২১ জানুয়ারি জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। এ অবস্থায় নুর মোহাম্মদের ক্ষেত্রে গত ২৪ জানুয়ারি আগে জারি করা দুটি রুলই খারিজ করে আদেশ দেন। এ অবস্থায় আরেক আসামি সরওয়ার আলম খানের জামিন আবেদন গতকাল নিয়ে গেলে আদালত তার ক্ষেত্রেও একই আদেশ দেন। জামিন আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন রেদওয়ান আহমেদ রানজিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
গতবছর ২৬ আগস্ট রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার জিপিও কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযান চালায় ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিট শাখার কর্মকর্তারা। এ অভিযানে গ্রাহকের প্রায় ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম জিপিও সঞ্চয় শাখার পোস্টমাস্টার-৬ নুর মোহাম্মদ ও একই শাখার কাউন্টার অপারেটর সরওয়ার আলম খানকে ওইবছরের ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই রাতেই তাদের কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মন্তব্য