আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও আজ নতুন করে স্বাধীনতার কথা বলতে হয়, সংবিধান নিয়ে কথা বলতে হয়। জাতীয় সংগীত নিয়ে কথা ওঠে। আজ মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার নাম দিয়ে বা ধর্মের দোহাই দিয়ে আজ তারাই নতুন সুরে নতুন লেবাস গায়ে দিয়ে ধর্মের অপব্যাখ্যা করে সংবিধানের ওপর আঘাত হানছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেক্লাব মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট: শিক্ষক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হকসহ ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, আজকে তারা ইসলামের নাম করে যে ভাষায় কথা বলছে, এর মধ্যে কোনো শান্তির চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়? যে ভাষায় কথা বলছেন, এদের মধ্যে কোনো সভ্যতা খুঁজে পাওয়া যায়? তারা উগ্র সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী টাইপের কথাবার্তা বলছেন।
রাজাকারের আস্ফালন শোনার জন্য এ দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন করা হয়নি মন্তব্য করে হানিফ বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। একাত্তরের পাকিস্তানি ও আলবদর আল শামসদের পরাজিত করে দেশ স্বাধীন করেছি। এই রাজাকারের আস্ফালন শোনার জন্য নয়। একাত্তরে পরাজিত করেছি, প্রয়োজন হলে আবারও এদের পরাজিত করে দেশ থেকে বিতাড়ন করা হবে।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, নবী কখনো ছবি তোলেননি, আপনারা ছবি তোলেন, নবী প্লেনে ওঠেননি, আপনারা ওঠেন কেন? নবী গাড়িতে ওঠেননি, আপনারা কেন গাড়িতে ওঠেন? ইসলাম কখনো এ কথা বলে নাই, ইসলাম হচ্ছে সবচেয়ে যুগোপযোগী ও সেরা ধর্ম।
তিনি আরো বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতা নাকি ইসলামে জায়েজ নয়। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে জানতে হবে। ধর্ম নিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। যার যার ধর্ম, সে তার মতো পালন করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সন্তান অ্যাখ্যা দিয়ে হানিফ বলেন, আজ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি সবাই ভাস্কর্য ইস্যুতে এক। এমনকি সরকারি চাকরিজীবী, যারা সরকারি কর্মকর্তা, তারাও এ দেশের সন্তান। তারাও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে নীরব। আমি বলব মির্জা ফখরুল সাহেব, অন্তরে স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করার চেষ্টা করেন।
স্বাধীনতা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি এস এম জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ তেলাওয়াত হোসেন খান ও অধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুর রহমান।
মন্তব্য