পুলিশের কঠোর অবস্থানের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা ও বাধা উপেক্ষা করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন ভাস্কর্যবিরোধী একদল মুসল্লি। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট চত্ত্বরে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধ করার পরও বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে জুমার নামাজের পর মোনাজাত শেষ হলে কয়েকশ‘ মুসল্লি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সিঁড়িতে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে। এ সময় ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘দুনিয়ার মুসলিম এক হও’, ‘বাবুনগরীর কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘মামুনুল হকের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা। এ সময় পুলিশ তাদের চলে যেতে অনুরোধ করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা স্লোগান দেয়ার পর সিঁড়ি থেকে নেমে যান বিক্ষোভকারীরা।
পরে দুপুর ২টার দিকে উত্তর গেট দিয়ে বের হয়ে বিক্ষোভকারীরা পল্টন মোড় দিয়ে বিজয়নগরের দিকে যান। সেখানে ফের জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে মিছিলকারীদের কয়েকজন একজন আহত হন বলে জানা যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, অনুমতি ব্যতীত যেকোনো সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও নামাজের পর কিছু লোক বিক্ষোভের জন্য দাঁড়িয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বলেছি। পরবর্তীতে শাহবাগ মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই। তারা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা কারা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ তারা কোনো ব্যানার নিয়ে আসেনি।
উল্লেখ্য, ভাস্কর্যবিরোধী ইস্যুতে মিছিলের আশঙ্কায় উদ্ভূত যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় জুমার নামাজের অনেক আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
মন্তব্য