<p>মিরপুরের মাজার রোডে দেওয়ান কামাল পাশা ওরফে দিপু (২৩) হত্যার মামলায় নয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২৪ বছর আগের এ হত্যা মামলায় আজ রবিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।</p> <p>আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ড তাদের ভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।</p> <p>দণ্ডিত নয়জনের মধ্যে একমাত্র আসামি নাছিম এদিন আদালতে হাজির ছিলেন। অন্যরা পলাতক। রায়ের পর নাছিমকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।</p> <p>পলাতকরা হলেন- আবদুল মালেক ওরফে কানা মালেক, জয়নাল আবেদীন, ইকবাল হোসেন ওরফে সেন্টু, জোহরা হক, ইয়াছিন, আবুল হাসেম, দুলাল ড্রাইভার ও মো. সেলিম।</p> <p>রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারি ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মাহবুবুর রহমান জানান, মামলায় ২০০৩ সালের ২ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন পাইক। ২০০৫ সালের মার্চ মাসে বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরের ১৫ মে চার্জ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। মামলায় নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।</p> <p>জানা গেছে, দ্রুত বিচার আইনের বিধি মোতাবেক নির্ধারিত কার্যদিবসে মামলাটি নিস্পত্তি না হওয়ায় এটি পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়। পরে মামলাটি আবারো ট্রাইব্যুনালে আসে।</p> <p>ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর মিরপুরস্থ দ্বিতীয় কলোনি মাজার রোডের মজিবর রহমানের দোকানের সামনে বন্ধু আলী হোসেন ও শুভর সঙ্গে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন দিপু। রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি বেবি ট্যাক্সিতে তিনজন অজ্ঞাত যুবক আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের মধ্যে একজন দিপুর বুকের নিচে বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। দিপুকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ওই ঘটনায় নিহতের পিতা দেওয়ান আবদুর রহমান রাজধানীর মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।</p>