<p>চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রুটে চলাচলকারী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনদুটি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আগামী শনিবার থেকে ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি এসব বগি নিয়ে চলাচল করবে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। এর আগে ২৬ জানুয়ারি উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে নতুন বগি যুক্ত করা হয়। এছাড়া ট্রেনটির সময়সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।</p> <p>আগে ট্রেন দুটি ১৬/৩২ কম্পোজিশনে চলাচল করলেও নতুন নিয়মে ১৪/২৮ কম্পোজিশনে চলবে। এর ফলে যাওয়া-আসা মিলিয়ে এই দুটি ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন ২ হাজার ৪৪৪ জন। এরমধ্যে উদয়ন ট্রেনে এসি বার্থ ৩৬টি, এসি চেয়ার ১১০টি, শোভন চেয়ার ৪৫০টিসহ ৫৯৬টি সিট। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি সিট ৬৬টি, এসি চেয়ার ১১০টি, শোভন চেয়ার ৪৫০টিসহ ৬২৬টি।</p> <p>১৯৮৬ সালে পাহাড়িকা এবং ১৯৯৮ সালে উদয়ন ট্রেন চালুর পর এবারই একসঙ্গে এতগুলো পরিবর্তন আনা হলো।</p> <p>নতুন পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতিটি এসি বার্থের মূল্য ৮৫৭ টাকা আর শিশুর জন্য এই ভাড়া ৫৭০ টাকা, স্নিগ্ধার দাম ৭১৯ টাকা আর শিশুর জন্য ৪৭৮ টাকা, শোভন চেয়ার ৩৭৫ টাকা, শিশুর জন্য ২৫০ টাকা। উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতিটি এসি বার্থের মূল্য এক হাজার ৩৮ টাকা আর শিশুর জন্য ৯০১ টাকা, স্নিগ্ধা ৭১৯ টাকা আর শিশুর জন্য ৪৭৮ টাকা, শোভন চেয়ার ৩৭৫ টাকা, শিশুর জন্য ২৫০ টাকা।</p> <p>এছাড়া উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে রাত পৌনে ১০টায় এবং সিলেট পৌঁছে ভোর ৬টায়। আবার সিলেট থেকে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছে বিকেল ৫টা ৫০মিনিটে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সিলেট থেকে সকাল সোয়া ১০টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছে সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনটি সিলেটের উদ্দেশে সকাল ৯টায় ছেড়ে সিলেটে পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬ টায়।</p>