ভুলবশত একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে এক মাস কারাবাস করিয়েছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণবাড়া থানার এসআই মামুনুর রশিদ। এ কারণে আজ বুধবার তিনি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এসআইকে সতর্ক করে ক্ষমা করে দেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা একটি মামলায় মো. রাজন ভূইয়া নামক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেন এসআই মামুন। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি বিচারাধীন। ওই মামলার আসামি হাবিবুল্লাহ রাজন। তিনি গত ছয় বছর ধরে পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়া থানার গোপালনগর গ্রামে। এসআই তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে একই গ্রামের রাজন ভূইয়াকে গত ১৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার করেন।
গত ১১ নভেম্বর রাজন ভূইয়ার পক্ষে আইনজীবী ট্রাইব্যুনালকে জানান, রাজন ভূইয়া এই মামলার প্রকৃত আসামি নন। তাকে ভুল আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল কাগজপত্র পরীক্ষা করে তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে গ্রেপ্তারকারী এসআই মামুনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। কেন একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হলো তা ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জানাতে নির্দেশ দেন।
আজ মুমুনুর রশিদ আদালতে হাজির হয়ে স্বীকার করেন যে, তার ভুল হয়েছে। তিনি ক্ষমা চান। তিনি লিখিত আবেদনে বলেন, রাজন নাম থাকায় রাজন ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তার কাগজপত্র অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে বলা হলেও কেউ তা দাখিল না করায় ভুল হয়েছে। সরল বিশ্বাসে এটা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এসআই দু:খ প্রকাশ করেন।
এদিকে মামলার মূল আসামি হাবিবুল্লাহ রাজন আজ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। ট্রাইব্যুনাল জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৯ মে ২৮ পিস নেশা জাতীয় ইনজেকশনসহ রাজধানীর বংশাল এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হন হাবিবুল্লাহ রাজন। এ দিনই তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলাটি বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্তানান্তর হয়।
মন্তব্য