<p>জেনেভা ক্যাম্পে পুলিশের মামলা ও গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে মিরপুরের আটকেপড়া পাকিস্তানিরা। বুধবার সকাল থেকে মিরপুর ১০ নম্বর স্ট্যান্ড্রেড পাকিস্তানিজ রিপ্যাট্রিয়েশন কমিটি (এসপিজিআরসি) কার্যালয়ে অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। এতে অংশ নেয় মিরপুর ১০, ১১, ১২৩ নম্বর ক্যাম্পের অধিবাসীরা।  </p> <p>গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার থেকে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। আটকে পড়া পাকিস্তানিদের অভিযোগ, প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা করে তাদের বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হয়। এই ক্ষোভ থেকে তারা আন্দোলন শুরু করে। শনিবার বেশ কিছু সময় ধরে আন্দোলন চলে। দুপুর ১২টা থেকে আন্দোলনকারীরা জেনেভা ক্যাম্প থেকে মোস্তাকিম কাবাব রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় তাদের সংঘর্ষ হয়। </p> <p>এরপর পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, নাশকতা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। এদিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দুটি করে। দুই মামলায় ৫১ জনের নামোল্লেখ ও আরও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পরেরদিন রবিবার সকালে ১১ জনকে আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।</p> <p>এসপিজিআরসির মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার সভাপতি মো. সেলিম ইউসুফ বলেন, 'নিরীহ অসহায় জেনেভা ক্যাম্পবাসীর ওপর বর্বোরিত হামলার নিন্দা জানাই। হয়রানি করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।  সকল প্রকার মিথ্যা মামলা তুলে নিয়ে জেনেভা ক্যাম্পে নিয়মিত নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হবে। একই সাথে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানাই আমরা।'</p> <p>৫ অক্টোবর মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পে ৩৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি নিয়ে ক্যাম্পবাসীর সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। এ সময় পুলিশের রবার বুলেটের আঘাতে রকি (২২) নামে এক যুবকের এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।</p> <p> সেলিম ইউসুফ বলেন, 'বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু ডেসকোর কিছু অসাধু কর্মকর্তা স্থানীয়দের মাধ্যমে প্রতি ঘর থেকে বাল্ব, পাখা প্রতি নিয়মিত চাঁদা নিতো। তারপরেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল নির্দিষ্ট কিছু লাইনে। সঠিক তদন্ত হলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলেও জানান আটকে পড়া পাকিস্তানিদের এই নেতা।</p>