<p>শুরুর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার আজ বৃহস্পতিবার আবারও প্রত্যাবাসন শুরুর দিন ঠিক করেছে। রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজি হলেই কেবল বাংলাদেশ তাদের পাঠাতে চায়। বাংলাদেশ স্পষ্ট বলেছে, কাউকে জোর করে পাঠানো হবে না।</p> <p>প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেখতে ঢাকায় মিয়ানমার ও চীন দূতাবাসের কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ভারতও।</p> <p>তবে জানা গেছে, সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী এক হাজার ৩৮টি পরিবারের তিন হাজার ৩৯৯ জন রোহিঙ্গার সম্মতি যাচাইয়ের জন্য গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। সেই যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর গত দুই দিনে বেশির ভাগই বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে ফিরতে আগ্রহী হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। যদিও সরকারি সূত্রগুলো বলছে, তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।</p> <p>পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গাদের অনেকেই ফিরতে চায়। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার বলছে, তারাও পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরাও পুরোপুরি প্রস্তুত। মিয়ানমার যখন চায়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেব। যতজনকে চায় আমরা ততজনকে দিয়ে দেব।’</p> <p>পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রায় ৫০ হাজারের তালিকা দিয়েছি। তারা মাত্র তিন হাজার ৪৫০ জনের নাম পাঠিয়েছে। শুরু করুক। আমরা চাই, একটু তাড়াতাড়ি যাক। কারণ না গেলে তাদের ভবিষ্যৎ খুব সুখের হবে না এবং এই অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত হবে। শান্তি ছাড়া আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না।’</p> <p>গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ছোট পরিসরে এমনকি আট-দশজনের একটি দলও যদি ফিরে যায় তাহলে তারা অবাক হবেন না। গত নভেম্বর মাসে প্রথম দফা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার পর বাংলাদেশ চীনকে এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেছে। ভারতও চাইছে, প্রত্যাবাসন শুরু হোক। তা ছাড়া মিয়ানমারের মিন্ট থিয়ো গত মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরের সময় বলেছেন, মিয়ানমার আট হাজার রোহিঙ্গাকে রাখাইনের বাসিন্দা বলে স্বীকার করেছে। তারা যেকোনো সময় ফিরতে পারে।</p>