<p>সারা দেশে ৭০ লাখ চালকের মধ্যে মাত্র ১৬ লাখ চালকের বিআরটিএ’র সনদ আছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সড়কে নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা উত্তরণের উপায়’ র্শীষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমরা এসব দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলতে চাই।</p> <p>এক সমীক্ষা প্রতিবেদন তুলে ধরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলে, সারা দেশে নিবন্ধিত ৩১ লাখ যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে অনিবন্ধিত, ভুয়া নম্বরধারী ও অযান্ত্রিক যান মিলে প্রায় ৫০ লাখ যানবাহন রাস্তায় চলছে, যার ৭২ শতাংশেরই ‘ফিটনেস নেই’।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীতে ৮৭ শতাংশ বাস-মিনিবাস ট্রাফিক আইন লংঘন করে বেপরোয়াভাবে চলাচল করে, ফলে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। সারা দেশে চালকের সংখ্যা ৭০ লাখ, তাদের মধ্যে বিআরটিএ’র লাইসেন্স আছে ১৬ লাখের। বাকিরা অবৈধভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন।</p> <p>বিআরটিএ ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের জরিমানা আদায় পদ্ধতির সমালোচনা হয় এ সভায়।</p> <p>সভায় নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরার পর বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “আমরা এসব দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলতে চাই। কেননা আমাদের সড়কে সমস্ত অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা জিইয়ে রেখে নৈরাজ্যকর পরিবেশে আমাদের যাতায়াতে বাধ্য করা হচ্ছে।”</p> <p>সভায় সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ১০ টি সুপারিশ তুলে ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- নগরীতে বাসে-বাসে প্রতিযোগিতা বন্ধে কোম্পানিভিক্তিক একই রংয়ের বাস সার্ভিস চালু, গণপরিবহন সার্ভিস অথরিটির নামে একটি টিম গঠন করা, ট্রাফিক বিভাগের কার্যক্রম জবাবদিহির আওতায় আনা,  বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত জনবান্ধব করা, ট্রাফিক পুলিশের মামলার জরিমানা সরাসরি ব্যাংকে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।</p>