<p>সম্প্রতি ইংরেজি শেখানোর মাধ্যমে ‘দক্ষ হ্যাকার তৈরি’র বিতর্কিত বিজ্ঞাপন দিয়ে ফেঁসে যাচ্ছে কোচিং সেন্টার ‘সাইফুরস।' আজ সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং কমিটির সভায় ওই বিজ্ঞাপনের কঠোর সমালোচনা করে ‘সাইফুরসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মন্ত্রী বলেন, সাইফুরস নামে বিখ্যাত একটি কোচিং সেন্টার আছে। এ কোচিং সেন্টার একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছে। সেই বিজ্ঞাপনে তারা বলেছে, ভাল ইংরেজি না জানতে পারলে ভাল লেখাপড়া করতে পারবে না, বিদেশে যেতে পারবে না। ভাল ডাক্তার, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না। এমনকি ভাল হ্যাকারও হতে পারবে না। দেখুন হ্যাকার হওয়ার জন্য তার কাছে গিয়ে পড়তে হবে, বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এটা অবশ্যই বেআইনি, এটা (বিজ্ঞাপন) দিতে পারে না। আমরা তাদের (সাইফুরস) বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব’ বলেন সভায় সভাপতিত্ব করা শিক্ষামন্ত্রী।</p> <p>এর আগে ‘English-এর ভুলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা হ্যাকারদের হাতছাড়া!’ শিরোনামে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার করে সাইফুরস। বিবিসিকে উদ্ধৃত করে ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘হ্যাকিংকৃত ডলার শ্রীলংকাতে স্থানান্তরের সময় `Foundation’ শব্দকে `Fandation’ লেখাতে বিদেশি Deutsche ব্যাংকের সন্দেহ হয়। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকেকে জানালে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই ২০ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তর বন্ধ করে দেয়।</p> <p><br /> নাহিদ বলেন, ‘চিন্তা করে দেখেন এ কোচিং সেন্টার কত অধঃপতনে নেমেছে। সে কত মানুষকে বিভ্রান্ত করে আস্থা আর্জন করেছে, মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে সেখানে তার বাচ্চাকে পড়াচ্ছে। এমন একজন মানুষ যে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বলছে যে ভাল হ্যাকার হতে হলে ভাল ইংরেজি শিখতে হবে। তাই সাইফুরসে এসে ভাল ইংরেজি শিখে যাও, ভাল চোর হয়ে যাবে। এ রকম লোকের বিরুদ্ধে যদি আমরা সোচ্চার না হই, তাহলে আমরা কিভাবে সমাজে থাকব।</p> <p>নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমি বলতে বাধ্য হলাম। অবস্থা এ রকম পর্যায়ে চলে গেছে যে, এদের বিরুদ্ধে আমরা সহনশীল হতে পারি না। তারা আমাদের ছেলে-মেয়েদের প্রলোভন দেখাচ্ছেন ভাল ইংরেজি শিখলে চোর হতে পারবা, ভাল করে হ্যাকিং করতে পারবা।’</p> <p>হ্যাকিং করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) সরিয়ে নেওয়া হয় শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে।</p> <p> </p>