রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পাকিস্তানের দালাল’ উপাচার্য

&lt;p&gt;সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন ১৯৬৯ সালের ৫ আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ১৮ জুলাই পর্যন্ত তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকেন। এরপর ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;উপাচার্য সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন মুক্তিযুদ্ধের সময় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করেছিলেন। রাজাকার, আলবদর বাহিনীর অঘোষিত উপদেষ্টার ভূমিকায় ছিলেন তিনি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যা, খুন, ধর্ষণের ঘটনাগুলো তিনি গোপন করেছেন দক্ষতার সঙ্গে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;অন্যদের গোপন রাখার জন্য চাপ দিয়েছিলেন বা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছিলেন। ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তার কাছে অভিযোগ গেলে তিনি কোনো প্রতিকার করেননি। পাকিস্তানি সেনাদের পশুত্ব যেন বাইরে প্রকাশ না পায়, সে জন্য তিনি সদা ব্যস্ত ছিলেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ধর্ষণের মদদদাতা&lt;/p&gt; &lt;p&gt;বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিক্ষক কর্মচারী হত্যা ধর্ষণের ঘটনাগুলো সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনের মদতেই হয়েছে। নাজিম মাহমুদ &lsquo;যখন ক্রীতদাস : স্মৃতি ৭১&rsquo; গ্রন্থে লিখেছেন, আমাকে আড়ালে ডেকে ড. হোসায়েন বললেন &lsquo;ইউ আর দ্য থার্ড ম্যান টু নো ইট&rsquo; এরপর নাজিম মাহমুদকে সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন আরো বলেন, &lsquo;যদি তুমি কোথাও ফাঁস করো, আমাদের জওয়ানেরা এই সব করে বেড়াচ্ছে, তাহলে তোমাকে কিন্তু বাঁচাতে পারবো না। সাবধান।&rsquo; একাত্তর সালের ২১ এপ্রিল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী অভিযোগ করেছিলেন যে, পাকিস্তানি সেনারা তার স্ত্রী ও কিশোরী মেয়েকে ক্যাম্পাসে ধর্ষণ করেছে! ওই সময় উপাচার্যের কার্যালয়ে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা নাজিব মাহমুদ।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তানি সেনাদের নারকীয়তা গোপন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন। নাজিব মাহমুদ লিখেছেন, &lsquo;নয়ই নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে চল্লিশ জন জওয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে ঢুকে যে নারকীয় দৃশ্য রচনা করে, তাও ভাইস চ্যান্সেলরকে হজম করতে হয়। পরদিন দুপুরে আই.জি. চীফ সেক্রেটারী, হোম সেক্রেটারীর সঙ্গে মেয়েদের হল ঘুরে ফিরে দেখলেন ভাইস চ্যান্সেলর, তারপর তিনি বললেন: সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীরা রোকেয়া হলে ঢুকেছিল। কিন্তু কারা এই দুষ্কৃতকারী সে কথা স্পষ্ট উচ্চার তিনি করতে পারলেন না।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;হত্যার পেছনের কারিগর&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lsquo;একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়&rsquo; গ্রন্থে আহমদ শরীফ, কাজী নূর-উজ-জামান ও শাহরিয়ার কবির লিখেছেন, &lsquo;দালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে মুখ্য ব্যক্তিটি ছিলেন ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে তিনি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন বাঙ্গালী অধ্যাপক এবং দুই জন বাঙ্গালী অফিসারের একটি তালিকা তৈরী করে সামরিক হেডকোয়ার্টারে দাখিল করেন। এই তালিকায় অধ্যাপকদের ৪টি শ্রেণীতে বিভক্ত করে চার ধরনের শাস্তির জন্য সুপারিশ করেছিলেন (ক) হত্যা (খ) কারাদন্ড (গ) চাকুরী থেকে বহিস্কার (ঘ) ধরে নিয়ে প্রহার করার সুপারিশ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে দন্ড প্রাপ্ত অধ্যাপকদের অনেকেই আলবদর এবং পাকিস্তান সেনা বাহিনীর হাতে নিহত অথবা নির্যাতিত হয়েছেন।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাজশাহী শহর দখলে নেয় এবং ১৪ এপ্রিল থেকে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ওই রাতে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ন ইউসুফ ও আফজালকে পাঠানো হয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোশাররফ হোসেনের কোয়ার্টার দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। ওই দুজন পিয়নকে পাকিস্তানী সেনা বাহিনীল সদস্যদের সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন। কয়েক দিন পরে ওই দুই পিয়নের লাশ পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে &lsquo;প/১২ ডি&rsquo; ফ্ল্যাটে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;পাকিস্তানি সেনাদের হত্যাযজ্ঞ গোপন ও মিথ্যা তথ্য প্রচারকারী&lt;/p&gt; &lt;p&gt;রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো শহর পাকিস্তানি সেনারা দখলে নিয়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, জখম, অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নির্যাতন অব্যাহত রাখে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ক্যাম্প তৈরি করে প্রতিদিন সেখানে বাংলাদেশের পক্ষের লোক ধরে এনে নির্যাতন ও হত্যা করত পাকিস্তান সেনাবাহিনী। উপাচার্য হিসেবে সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন এর কোনো প্রতিবাদ করেননি। তারপরিবর্তে তিনি এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানি সেনাদের প্রশংসা করে রেডিওতে ঘোষণা করলেন, &lsquo;তাদের চেষ্টায় রাজশাহীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে।&rsquo; &lt;/p&gt; &lt;p&gt;চৌদ্দ এপ্রিলের পর রাজশাহী শহর বাংলাদেশের পক্ষের মানুষের জন্য হয়ে পড়ে এক &lsquo;মৃত্যুপুরী&rsquo;। পাকিস্তানপন্থী শিক্ষকরা ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষের বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কমকর্তা-কর্মচারীরা ২৫ মার্চের পরই ক্যাম্পাস ছাড়েন এবং অনেকে যুদ্ধে অংশ নিতে ভারতে যান। আবার অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনের সেই রেডিও ভাষণ শুনে ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছিলেন চাকরি রক্ষা করতে। কিন্তু এসে দেখেন, ভিন্ন চিত্র। ক্যাম্পাসে ফেরার পরই তারা বুঝতে পারেন সৈয়দ সাজ্জাদ একজন মিথ্যাবাদী, প্রতারক এবং পাকিস্তানী দালাল।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকায় নেই সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মিস স্টক বিভাগীয় প্রধান থাকাকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের তালিকায় কোথাও সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনের নাম নেই।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১৯৬৯ সালের ২ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগেই ইউরোপে ছিলেন। ২৫ মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো দেশে পাকিস্তানি সেনারা একযোগে হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে তিনি স্বাধীনের আগে আর দেশে ফেরেননি। বিলেতে থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য কাজ করেছেন। বিশ্ব জনমত গঠনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরির ভূমিকা বাঙালি চিরকাল স্মরণ করবে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের এ বিষয়ে বলেন, &lsquo;মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর যোগসাজশে সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আসনে বসানো হয়। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনো স্বীকৃতি দেয়নি। কারণ আমাদের উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন বিদেশে যান তারপরে ২৫ মার্চের সেই হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী হত্যা-নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হন। অতএব এই সময়টাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ডকুমেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নামই রাখা আছে। সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিয়োগ করেছে এটা একেবারেই একটা বেআইনি কাজ ছিল, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নাম এখন নেই।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;এ বিষয়ে ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন বলেন, &lsquo;সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনের নাম উপাচার্যের তালিকায় রাখতেই হবে। সেটা না করলে ইতিহাস বিকৃতি হবে। তবে তার নামের সঙ্গে &ldquo;পাকিস্তানি দালাল ও সহযোগী&rdquo; কথাটা সংযুক্ত করা প্রয়োজন।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্নচিত্র&lt;/p&gt; &lt;p&gt;রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের মতো সম্মানজনক পদে এখনো সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনের নাম ও ছবি ঝুলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ও কার্যালয়ে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তিন মেয়াদে এক দশকের বেশি সময় ক্ষমতায় থেকেও দালাল উপাচার্যের ছবি সরানোরর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ওই উপাচার্যের ছবির ওপর &lsquo;কালো কাপড়&rsquo; দিয়ে ঢেকে দেওয়া কিংবা তার নামের পাশে &lsquo;পাকিস্তানি দালাল ও বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশাকারী&rsquo; লেখা হয়নি।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;অথচ বর্তমান উপাচার্য মহোদয় প্রতিদিনই মুক্তিযুদ্ধের কথা বলছেন। কিন্তু তার বাসভবনে প্রতিদিন তিনি পাকিস্তানী দালাল উপাচার্যকে দেখে দিনের কাজ শুরু করেন। সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েনের নামে সঙ্গে দালাল শব্দটি লিখতে বর্তমান উপাচার্য মহোদয় আপত্তি না করলেও কখনো আগ্রহ দেখাননি। অন্তরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ না থাকলে যা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে তাই হয়েছে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকজন পাকিস্তানি দালাল উপাচার্য&lt;/p&gt; &lt;p&gt;১৯৭১ সালে সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাওয়ার পর মুহম্মদ আবদুল বারী উপাচার্য হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। মো. এনামুল হক, &lsquo;রাজশাহীতে মুক্তিযুদ্ধ&rsquo; গ্রন্থে লিখেছেন, &lsquo;সামরিক সরকার ৩০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পুনর্গঠনের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করে। সে কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো তিনজন শিক্ষক সে কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁরা হলেন ড. মুহম্মদ আব্দুল বারী, ড. মকবুল হোসেন ও ড. সফিউদ্দিন জোয়ার্দার। এঁরা সকলেই ছিলেন তাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বা দালাল।&rsquo;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;পাকিস্তানের একনিষ্ঠ সহযোগী মুহম্মদ আবদুল বারীকে স্বাধীন বাংলাদেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৯৭৭ সালে জুলাইয়ে। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। শুধু তাই নয়, মুহম্মদ আবদু বারী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব পালন করেন। অথচ এই ব্যক্তির অধীনেই ১৯৭১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন-ধর্ষণ-নির্যাতন চলেছে। কিন্তু স্বাধীন দেশে সেই পাকিস্তানি সহযোগীকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। তার পরও আমাদের বলতে হবে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের উপর চলেছে?&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;লেখক &lt;/strong&gt;: সাংবাদিক&lt;/p&gt; &lt;p&gt;তথ্যসূত্র&lt;br /&gt; ১। যখন ক্রীতদাস : স্মৃতি &rsquo;৭১, নাজিম মাহমুদ (বিপিএল প্রকাশক)&lt;br /&gt; ২। কাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়, আহমদ শরীফ, কাজী নূর-উজ-জামান ও শাহরিয়ার কবির (মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ কেন্দ্র, ঢাকা)&lt;br /&gt; ৩। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস, আমানুল্লাহ আহমদ (হক্কানী পাবলিশার্স)&lt;br /&gt; ৪। একাত্তরের দিনগুলি, জাহানারা ইমাম (চারুলিপি প্রকাশন)&lt;br /&gt; ৫। রাজশাহীতে মুক্তিযুদ্ধ, মো. এনামুল হক (অনুপম প্রকাশনী)&lt;br /&gt; ৬। এই দেশে একদিন যুদ্ধ হয়েছিল, মহিউদ্দিন আহমদ (প্রথমা প্রকাশনী)&lt;br /&gt; ৭। একজন প্রবীণ বন্ধুর প্রয়াণে, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী (প্রথম আলো)&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt;

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পাকিস্তানের দালাল’ উপাচার্য

জাকির হোসেন তমাল

জাকির হোসেন তমাল

প্রাসঙ্গিক

সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় : ওবায়দুল কাদের

‘ইসলামিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন’, ২ টিভি চ্যানেল বন্ধ করল তালেবান

চকরিয়ায় ভূমিসহ মার্কেট রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

মুস্তাফিজের বিকল্প ক্রিকেটার নিয়ে নিল চেন্নাই?

সরকার দেশের মানুষের হৃদয়ের ভাষা বুঝতে পারেনি : রিজভী

আল্লাহর প্রিয় হওয়ার আমল

কিশোরগঞ্জে বাসচাপায় প্রাণ গেল মামা-ভা‌গ্নের

রাসেলের নিষেধাজ্ঞায় নতুন নাটক

অস্বাভাবিক যৌন আকর্ষণ ও মানসিক অসুস্থতা

বিয়ের পর স্বামী পলাতক, শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেওয়া সেই তরুণীকে হাতুড়িপেটা

প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী

ভোটের আগে ভারতের নির্দেশে পোস্ট ব্লক করল এক্স

‘সিলভার প্লে বাটন’ পেল কালের কণ্ঠ ডিজিটাল

চুয়াডাঙ্গার অপহৃত শিশু সিরাজগঞ্জে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

এক হামলায় ৫ হাজার ভ্রূণ হত্যা করেছে ইসরায়েল

ঢাকায় চীনা ভিসা সেন্টার উদ্বোধন

মুস্তাফিজ কার?

কাঁচাঘর খাসা

সালথায় গভীর রাতে আগুনে পুড়ল ১২ দোকান, বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি

ছাত্রলীগ নেতার পর একই নারীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল

গোপালগঞ্জে সড়কে প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর, আহত ৪

বগুড়ায় নাতির গলা কেটে হত্যা করল নানা

বাল্যবিবাহ রোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের উঠান বৈঠক

চেয়ারে বসা নিয়ে বিরোধ, লাথিতে প্রাণ গেল কিশোরের

লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে হত্যায় গ্রেপ্তার ৭

রুমা-থানচিতে ব্যাংকে হামলা: ১৮ নারীসহ ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

অপরাজিত থেকেই সুপার লিগে আবাহনী

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ইইউ

লুনিন দেখালেন কীভাবে সুযোগ কাজে লাগাতে হয়

ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো

সর্বাধিক পঠিত

এক হলেন তাহসান মিথিলা, তবে…

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খান পরীমণি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ নেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বৃহস্পতিবার ১ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট

সেই খালেদা জামিনে মুক্ত

বাসর রাত কাটিয়ে স্বামী পলাতক, শ্বশুরবাড়িতে তরুণীর অবস্থান

গডফাদারদের সম্পত্তি ক্রোক: মাদকের টাকায় সম্পদের পাহাড়

মাহির সঙ্গে প্রেম করছেন কি না, জানালেন জয়

মৃত্যু বেড়ে ১৫, স্বামীর পর চলে গেলেন স্ত্রীও

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন পরী মনির বিরুদ্ধে

আজ এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবা

টাইব্রেকারে ম্যানসিটির হৃদয় ভেঙে সেমিফাইনালে রিয়াল

ছাত্রলীগ নেতার পর একই নারীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল

৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি আমিরাতে, পানির নিচে বিমানবন্দর

বার্সার হারে লাভ হলো অ্যাতলেতিকোর

সড়ক দুর্ঘটনায় কণ্ঠশিল্পী পাগল হাসানের মৃত্যু

চালুর অপেক্ষায় ১২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি পতেঙ্গা টার্মিনাল

ওই পরিমাণ আয় করতে ১৫টি সিনেমা করতে হতো : রাভিনা

এবার ‘জেমস’ হবেন শাকিব খান

টাঙ্গাইল শহরে একাধিক কক‌টেল বি‌স্ফোরণ, জনমনে আতঙ্ক

বার্সাকে বিদায় করে যে স্বপ্নের কথা জানালেন এমবাপ্পে

ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ, বিক্রি হবে আগের দামেই

২০১৯ এর পর আবার কান উৎসবে ডাক পেলেন এই তরুণী

শরীরে জিংকের কাজ কী? ঘাটতি পূরণে যা করণীয়

তাপপ্রবাহ কিছুটা কমেছে, আরো কমবে

অনড় নেতানিয়াহু, ইরানের ব্যাপারে ইসরায়েল নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে

৪ লাখ টাকায় হামলা করানো হয় সালমান খানের বাড়িতে

পরিবেশবান্ধব হলো আরো এক পোশাক কারখানা

চিকিৎসায় অবহেলা মেনে নেওয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় হিজবুল্লাহর হামলা, ১৪ সেনা আহত

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন