<p>নিউজিল্যান্ডে পুলিশের দায়িত্ব পালনে হিজাব কোনো বাধা নয়। বরং হিজাব পরে অনেক মুসলিম নারী পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি এক মেয়ে শিক্ষার্থী ভাবেন যে তিনি হয়তো পুলিশ অফিসার হতে পারবেন না। কারণ তিনি হিজাব পরেন। পরবর্তী সময়ে তাকে নিউজিল্যান্ডের প্রথম হিজাবি পুলিশ অফিসার জিনা আলী তাকে আশ্বস্ত করেন যে পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে হিজাব কোনো বাধা নয়। </p> <p>নিউজিল্যান্ড পুলিশের এক বিবৃতিতে জানা যায়, সেই শিক্ষার্থীর কথা শুনে কনস্টেবল জিনা আলী তাকে আশ্বস্ত করে জানান, নিউজিল্যান্ড পুলিশে যোগদানে ইচ্ছুক মুসলিম নারীদের জন্য হিজাব কোনো বাধা নয়। পুলিশে যোগদানে কোনো কিছু বাধা হতে পারে মনে করে এমন চিন্তা না করার কথা বলেন। </p> <p>গত মাসে মেয়েটির শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ শুনে ক্যারিয়ার বিষয়ক ক্লাসে নিউজিল্যান্ডে নারী পুলিশ সদস্য আছে কি না জানতে চান। তখন জানানো হয় যে জিনা আলী হিজাব পরা প্রথম পুলিশ সদস্য, যিনি হিজাব নকশার কার্যক্রমে অংশীদার ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের নভেম্বরে রয়্যাল নিউজিল্যান্ড পুলিশ কলেজে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি তামাকি মাকারাউতে কাজ করছেন।</p> <p>এক ভিডিও বার্তায় জিনা বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের পুলিশের বিশেষ শাখা গত বছর অনেক পরিশ্রম করে অত্যন্ত চমৎকার হিজাব ইউনিফর্ম তৈরি করেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিষেবার জন্য মুসলিম নারী পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্ম হিসেবে এর অনুমোদন দেওয়া হয়।’</p> <p>মিসরে নিযুক্ত নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গিরিগ লুওয়াইস টুইটারে বলেন, নিউজিল্যান্ড একটি উদার বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে সবার অধিকার রক্ষা করা হয়। নিউজিল্যান্ডের পুলিশ বিভাগ মুসলিম নারীদের ইসলামী হিজাবকে ইউনিফর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। </p> <p>নিউজিল্যান্ড পুলিশের মুসলিম নারীদের ইউনিফর্ম হিসেবে হিজাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। তা উন্নত মানের স্পোর্টস ফ্যাব্রিক থেকে তৈরি। পরতে হালকা, ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী, আর্দ্রতা-জাগানো ও অত্যন্ত সুদৃঢ়। গত বছরের নভেম্বরে পুলিশের ইউনিফর্ম হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তা অনুমোদিত হয়।</p>