<p>অটোমান সাম্রাজ্যের শেষ উত্তরাধিকারী দুন্দার আবদুল কারিম ওসমানগুলু মারা গেছেন। গত সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ৯০ বছর বয়সে সিরিয়ার দামেশকে তিনি মারা যান। পরিবারের সদস্যের সূত্রে ডেইলি সাবাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে।</p> <p>অটোমান পরিবারের সদস্য ওরহান উসমানগুলু এক টুইট বার্তায় মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলেন, ‌‘আ‌মাদের পরিবারের প্রধান ব্যক্তি ও অটোমান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী আমাদের চাচা যুবরাজ দুন্দার আবদুল কারিম উসমানগুলু সিরিয়ার দামেশকে মারা গেছেন।আল্লাহ তাঁর আত্মাকে শান্তিতে রাখুন।’</p> <p>ওসমানগুলু ছিলেন সর্বশেষ অটোমান সম্রাট দ্বিতীয় আবদুল হামিদের ছেলে প্রিন্স মেহমেত সেলিম আফেন্দির নাতি। ১৯২৪ সালে উসমানি খেলাফত বিলুপ্তির পর দুন্দার আবদুল করিমের বাবা ওসমানগুলুকে তুরস্ক থেকে বহিষ্কার করা হলে তাঁরা সিরিয়ার রাজধানী দামেশকে বসবাস শুরু করেন। ২০১৭ সালে দুন্দারের স্ত্রী ইউসরা উসমানগুলু মারা যান। </p> <p>তুরস্কে থাকা অটোমান পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘকাল যাবৎ সিরিয়ায় বসবাসরত তাদের বংশধরদের ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু চলমান যুদ্ধের কারণে তুরস্কের সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। </p> <p>১৯৫২ সালে তুরস্ক অটোমান বংশের নারীদের ক্ষমা ঘোষণা করে। ১৯৭৪ সালে পুরুষদের দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। অল্প কয়েকজন দেশে ফিরলেও অনেকেই তুরস্কের বাইরে রয়ে যান।</p> <p>ওসমানগুলুর বাবা মেহমেত আবদুল কারিম আফেন্দি প্রথমে লেবাননের বৈরুতে আসেন। এরপর দামেশকে এসে বসবাস শুরু করেন। ১৯৩৫ সালে সেখানেই দুই শিশুসন্তান ও স্ত্রীকে রেখে তিনি মারা যান। </p> <p>২০১৭ সালে অটোমান সুলতান প্রথম আবদুল হামিদের নাতি ইবরাহিম তেভফিকের ছেলে ওসমান বায়জিদ ওসমানগুলু মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে দুন্দার ওসমানগুলু অটোমান পরিবারের প্রধান হিসেবে ছিলেন। </p> <p>দুন্দার আবদুল কারিম ওসমানগুলুর ভাই হারুন ১৯৭৪ সালে তুরস্কে ফেরেন। ইস্তাম্বুলেই তিনি বেড়ে ওঠেন। বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে ৮৮ বছর বয়সী হারুন ওসমানগুলু এখন অটোমান পরিবারের প্রধান থাকবেন।</p> <p>সূত্র : ডেইলি সাবাহ।</p>