সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ
তুরস্কের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় আছে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ।
গতকাল শনিবার (২১ নভেম্বর) জি টোয়েন্টি লিডার্স সামিট চলাকালে এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে এ কথা বলেন সৌদি প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।
তুর্কি পণ্য বয়কট বিষয়ে প্রিন্স ফয়সাল জানান, ‘এমন কোনো প্রমাণ নেই, যাতে অঘোষিতভাবে তুরস্কের পণ্য বয়কটের কথা বলা হয়েছে।’
এ ছাড়া উপসাগরীয় সংকট নিরসন নিয়ে ফয়সাল বলেন, ‘কাতারের সঙ্গে সংকট নিরসনে কাজ করছে সৌদি আরব, আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন।’
২০১৭ সালের জুন মাসে সন্ত্রাসে সহযোগিতার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে আশা ব্যক্ত করে প্রিন্স ফয়সাল বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মার্কিন প্রশাসন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনা উভয় দেশের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে।
এদিকে ইয়েমেনে যুদ্ধরত হুথিগোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইয়েমেনে ইরান সমর্থনপুষ্ট হুথিদের আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
এর আগে গত শুক্রবার জি টোয়েন্টি লিডার্স সামিটের আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোনালাপে কথা বলেছেন সৌদি বাদশাহ সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। সৌদি আরব ও তুরস্ক দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রাখতে সম্মত হয়েছেন দুই দেশের প্রধান।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব ২১-২২ নভেম্বর ভার্চুয়াল জি টুয়েন্টি সামিটের আয়োজন করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ মোট ২০ সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সংগঠন ‘গ্রুপ টুয়েন্টি’-এর অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র সৌদি আরব ও তুরস্ক।
বেশ কয়েক বছর যাবৎ সৌদি আরব ও তুরস্কের মধ্যে পররাষ্ট্রনীতি ও ইসলামী রাজনৈতিক দল নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। বিশেষত ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহতের পর দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটে।
সূত্র : রয়টার্স ও আল-জাজিরা।
মন্তব্য