ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের ব্যাথেলহেম শহরে পর্যটক সহযোগীর দায়িত্ব পালন করতেন রায়েদ বানুরাহ। করোনার মহামারি প্রাদুর্ভাবের পর পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জীবিকার সন্ধানে ব্যাথেলহোমে একটি ছোট্ট ক্যান্টিন খুলেন তিনি। সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নাম দেন ‘করোনা স্যান্ডউইচ’।
গত মার্চ থেকে ব্যাথেলহেমে পর্যটন আসা বন্ধ হয়ে যায়। অন্য সময় এখানকার মাহাদ গির্জায় প্রতিদিন দর্শনার্থী ও পর্যটকদের ভিড় থাকত। ইসরায়েল ও জেরুজালেমের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী তীর্থযাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ও থাকত। তাদের নিয়ে সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন বানুরাহ।
নিজের পরিবার ও অবসর সময় কাজে লাগাতে একটি ছোট্ট ক্যান্টিন খুলেন বানুরাহ। বার্তা সংস্থা এএফপি-কে তিনি জানান, একদিন সকালবেলা স্ত্রীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বললেন, আমার দোকানের নাম দেব ‘করোনা’। কিন্তু স্ত্রী তাঁর এই নাম চয়নকে পাগলামি বলে মনে করে বলল, তোমার এই নাম তো করোনার মতো সবত্র ছড়িয়ে পড়বে।
ক্যান্টিনে নানা রকম গোশত পাওয়া যায়। ভাজা পেঁয়াজ ও মসলা দিয়ে বিশেষ রুটিও থাকে। গরু ও মেষশাবকের সসেজ পাওয়া যায়।
ভয়াবহ দুর্যোগকালে ক্যান্টিন খুলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বানুরাহ বলেন, দার্শনিকরা বলেছেন, চালাক ও নির্বোধের মধ্যে কয়েক সুতার ব্যবধান থাকে। আমি এখনও জানি না আমি কোনটার নিকটতম।
সুন্দর ক্যান্টিনটি পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হওয়া পর্যন্ত রাখবেন। করোনা নামটিও তখন পর্যন্ত রাখবেন জানান তিনি। বানুরাহ বলেন, নামটি এভাবেই থাকবে। মানুষ এখানে এসে বলবে, এবার আমরা রক্ষা পেলাম।
সূত্র : আল জাজিরা
মন্তব্য