<p>চীনের উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনে মুসলিম বিশ্বের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস।</p> <p>গত ২৪ জুলাই প্রকাশিত এক কলামে লেবর আদাম বিষয়টিকে খুবিই উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চীন সরকার উইঘুর মুসলিমদের প্রাচীন মুসজিদ, সাংস্কৃতিক স্থাপনা ধ্বংসসহ তাদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও দেশান্তর করছে বলে উল্লেখ করেন। </p> <p>তিনি আরো উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রের সহায়তায় অত্যন্ত সুকৌশলে উইঘুর মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে বলা হচ্ছে তারা এখানের কখন ছিল না। তাদের মুসজিদ ধ্বংস করে বলা হচ্ছে, এখানের তাদের কোনো কিছু ছিল না। </p> <p>সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, আরব ও মুসলিমবিশ্ব উইঘুর মুসলিমদের সহায়তার বদলে চীনের পক্ষাবলম্বন করছে। অবশ্য মালয়েশিয়া ইতিমধ্যে সেখানে অবস্থানরত উইঘুরদের চীনের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে গত বছরের জুলাই মাস থেকে প্রকাশ্যে পাকিস্তান ও সৌদি আরব উইঘুরদের সঙ্গে চীনের আচরণকে সমর্থন দিয়ে আসছে। </p> <p>বেইজিংয়ের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বেইজিং আরব ও মুসলিমবিশ্বকে সমবেত করতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া ঋণ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে নিজের আওতায় নিয়ে রেখেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল চীনে প্রতি নিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরেছে। </p> <p>এদিকে বেইজিং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য হওয়ায় সমালোচনা থেকে রক্ষা পেতে কাউন্সিলের পদপ্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছে। অবশ্য ইউরোপে চীনের চলার পথ সঙ্কীর্ণ হওয়ার পর থেকে অনেক সংবাদ মাধ্যম উইঘুরদের দুঃখ-ব্যাথা ও নির্যাতন নিয়ে কথা বলা শুরু করেছে। </p> <p>মুসলিম বিশ্বকে চীনের প্রতি শক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লেবর বলেন, ইতিমধ্যে বসোনিয়ার স্রেবেনিকা গণহত্যার মতো আর কোনো গণহত্যা যেন বিশ্ববাসীকে দেখতে না হয়, এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। </p> <p>সূত্র : আল জাজিরা নেট</p>