<p style="text-align:justify">বাঙালি চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭২ সালের ২৬ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) তিনি ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেন। বাংলার বিখ্যাত লোকচিত্র কালীঘাট পটচিত্র শিল্পকে বিশ্বনন্দিত করে তোলেন তিনিই। তিনি নিজে পটুয়া না হলেও নিজেকে পটুয়া হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন।</p> <p style="text-align:justify">বাঙালি চিত্রশিল্পী যামিনী রায় ১৮৮৭ সালের ১১ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় গ্রামের এক মধ্যবিত্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রামতরণ রায়। মাতার নাম নগেন্দ্রবালা দেবী।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১২ বছর আজ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/04/24/1745478389-0f252fb9564b30f38e22ed6a459391e2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১২ বছর আজ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/04/24/1508519" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">কলকাতা আর্ট স্কুলে ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে ভর্তি হন যামিনী রায়। ১৯০৬ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুলে ইউরোপীয় অ্যাকাডেমিক রীতিতে পড়াশোনা করেন। আর্ট স্কুলে ইতালীয় শিল্পী গিলার্দি ও পরে অধ্যক্ষ পার্সি ব্রাউনের সংস্পর্শে এসে তিনি প্রাচ্য-প্রতীচ্যের উভয় শিল্পের কলা-কৌশলের সঙ্গে পরিচিত হন। </p> <p style="text-align:justify">ইউরোপীয় অ্যাকাডেমিক রীতি শিখলেও শেষ পর্যন্ত দেশজ সরল রীতিতে চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। এছাড়া কিছুদিন তিনি ফার্সি শিল্পীদের মতো চিত্র চর্চা করেন। এইসময় তিনি তার চিত্র চর্চার বেগ আরো বৃদ্ধি করেন। তিনি ১৬ বছর বয়সে কলকাতা আর্ট কলেজে চিত্র চর্চার জন্য ভর্তি হন।</p> <p style="text-align:justify">বিদেশি ভাবধারায় প্রথম দিকে ছবি আঁকলেও পরবর্তীতে সম্পূর্ণ দেশীয় তথা গ্রামবাংলার প্রতিরূপ তাঁর ছবিতে ফুটে উঠেছে। নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তার লক্ষ্যে তিনি লোক ও নৃগোষ্ঠীদের সংস্কৃতি বেছে নেন। নিজস্ব বাঙালি সংস্কৃতি ও ভাবধারার জন্য তিনি গর্বিত ছিলেন। তিনি বহুবার বিদেশ থেকে আমন্ত্রণ পেলেও কখনো বিদেশে যাননি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ক্ষমা-অনুশোচনার প্রশ্নে এখনো আওয়ামী লীগের ‘না’" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/04/24/1745477886-64c1f3e6af6a117cbb2551d488254e3b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ক্ষমা-অনুশোচনার প্রশ্নে এখনো আওয়ামী লীগের ‘না’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2025/04/24/1508514" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">তিনি বলতেন, 'আমরা গরিব দেশের মানুষ, এত পয়সা খরচ করে ওদের দেশে যাব কেন? ওদের অনেক পয়সা, ওরা এসে আমাদেরটা দেখে যাক।'</p> <p style="text-align:justify">দেশীয় উপকরণ ব্যবহার, বাংলার লোকজ পুতুল, শিশু, গ্রাম বাংলার সরল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখর চিত্র ইত্যাদি তিনি তাঁর ছবির ‘ফর্ম’ হিসেবে গ্রহণ করেন।</p> <p style="text-align:justify">তার চিত্রকর্মের মধ্যে সাঁওতাল জননী ও শিশু, মাদলবাদনরত সাঁওতাল, নৃত্যরত সাঁওতাল, মা ও শিশু, রাঁধা-কৃষ্ণ, যীশু, কৃষ্ণলীলা ও নারীবিষয়ক, কনে ও তার দুই সঙ্গী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। </p> <p style="text-align:justify">তার পাওয়া সম্মাননার মধ্যে রয়েছে,  ১. পদ্মভূষণ, ১৯৫৪- এটি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা।<br /> ২. ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার: ১৯৫৫ সালে যামিনী রায় সর্বপ্রথম এই পুরস্কারটি পান। এটি চারু শিল্পের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান। ৩. ডক্টর অব লেটার্স, ১৯৫৬।</p>