<article> <p style="text-align: justify;">শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আঁকা ‘সাঁওতাল দম্পতি’ শিল্পকর্মটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক নিলাম ঘর সাদাবিজে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। ১৮ মার্চ নিলামে তিন লাখ ৮১ হাজার ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় চার কোটি ১৭ লাখ টাকার কিছু বেশি) ছবিটি বিক্রি হয়। বাংলাদেশের কোনো শিল্পীর শিল্পকর্মের জন্য এটিই সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হওয়ার রেকর্ড বলে দাবি করছেন শিল্পবোদ্ধারা।</p> <p style="text-align: justify;">সাদাবিজে ‘সাঁওতাল দম্পতি’ ছাড়াও একজন উপবিষ্ট নারীর তেলচিত্র নিলামের জন্য তোলা হয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সাদাবিজের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘সাঁওতাল দম্পতি’ চিত্রকর্মটির আগের মালিক ছিলেন পাকিস্তানি কূটনীতিক ও ধারাভাষ্যকার জামশেদ কে মার্কার। তিনি সরাসরি জয়নুল আবেদিনের কাছ থেকেই চিত্রকর্মটি পেয়েছিলেন। জয়নুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন জামশেদ কে মার্কার ও ডায়ানা জে মার্কার। জয়নুল প্রায়ই মার্কার দম্পতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">রশিদ চৌধুরীসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে মার্কার দম্পতিকে পরিচয় করিয়ে দেন জয়নুল আবেদিন।</p> <p style="text-align: justify;">সাদাবিজের ওয়েবসাইটে আরো বলা হয়েছে, ১৯৬৩ সালে আঁকা চিত্রকর্মটিতে জয়নুল আবেদিনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। সেখানে মানুষ ও তার বাসস্থানের কাব্যিক ও মৌলিক আখ্যান ফুটে উঠেছে। চিত্রকর্মটিতে সবুজ বনাঞ্চলের পটভূমিতে এক সাঁওতাল দম্পতিকে চিত্রিত করা হয়েছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">তেলরং দিয়ে ক্যানভাসে আঁকা চিত্রকর্মটি প্রস্থে ১০২ এবং দৈর্ঘ্যে ১৩৫.৫ সেন্টিমিটার। তবে ছবিটি কে কিনেছেন, সে বিষয়ে সাদাবিজের ওয়েবসাইটে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।</p> <p style="text-align: justify;">বাংলাদেশে শিল্পাচার্যের আসনে থাকা জয়নুল আবেদিন সম্পর্কে সাদাবিজের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘সংবেদনশীল শিল্পী আবেদিন শিল্পকে কখনোই সাধারণ জীবনের বাইরের কিছু মনে করেননি। তাঁর কাছে শিল্প ছিল মূলত জীবনের একটি অভিব্যক্তি এবং এর উদ্দেশ্য ছিল সমাজকে সমৃদ্ধ ও সুন্দর করে তোলা...তাঁর শিল্প সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য নিবেদিত ছিল। তাঁর শিল্প সাধারণ মানুষের জীবন, তাদের অব্যাহত এবং দৃশ্যত নিরন্তর সংগ্রাম ও তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার চিত্র তুলে ধরে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">গ্রামীণ মানুষ ও বাংলার প্রকৃতি ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়।’</p> <p style="text-align: justify;">১৯৬৩ সালে আঁকা বসে থাকা নারীটির ছবি বিক্রি হয়েছে দুই লাখ ৭৯ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় তিন কোটি সাড়ে ছয় লাখ টাকার কিছু বেশি।</p> <p style="text-align: justify;">তবে বাংলাদেশের শিল্প সমালোচকরা বলেন, টাকার অঙ্কে জয়নুলের শিল্পকর্মের মূল্যায়ন করা যাবে না। জয়নুল আবেদিনের সৃষ্টি আমাদের অমূল্য সম্পদ। সূত্র : সাদাবিজ</p> </article>