<article> <p style="text-align: justify;">২০২৪ লোকসভা ভোটের ঠিক আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ কার্যকর করার গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এবার ভারতের সাধারণ নির্বাচনে বড় একটি ইস্যু হতে চলেছে নাগরিকত্ব। এই নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিজেপি যেমন হিন্দু ভোট সুসংহত করার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে মুসলিমপ্রধান রাজ্যগুলোতে মুসলিম ভোট নানা ভাগে ভাগ না হয়ে একটি বিজেপিবিরোধী দলের কাছে এসে যাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ছে। এর ফলে ভারতের রাজনীতিতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় মেরুকরণ বাড়ছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসা নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই তো এই আইন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের তালিকায় হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি, খ্রিস্টানরা থাকলেও মুসলিমদের কোনো স্থান দেওয়া হয়নি। কিন্তু কেন? তবে কি সিএএ মুসলিমবিরোধী? বিরোধী শিবির এই প্রশ্নটিই তো তুলছে!</p> <p style="text-align: justify;"><img alt="নির্বাচনী বিতর্ক ও ভারতের নাগরিকত্ব আইন" height="438" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/03.March/18-03-2024/Untitled-1%20(1).jpg" width="500" />তার জবাব দিতে ময়দানে নামতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআইকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশ তাদের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণেই আজ ভারতের অংশ নয়।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সেসব ভূখণ্ড মুসলিমদের জন্যই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে অখণ্ড ভারতের অংশ হয়েও যারা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে, তাদের আশ্রয় এবং নাগরিকত্ব দেওয়া ভারতের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে মনে করি আমি।’ অখণ্ড ভারত অর্থে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তিব্বত মিলিয়ে স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়ের অখণ্ড ভারত। সিএএর মুসলিমবিরোধী তকমা নিয়ে অমিত শাহর স্পষ্ট বক্তব্য, পাকিস্তান, আফগানিস্তান তো ঘোষিত ইসলামিক রাষ্ট্র, সেখানে কিংবা বাংলাদেশে মুসলিমরা কিভাবে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হতে পারে?</p> <p style="text-align: justify;">ভারতের এই তিনটি মুসলিমপ্রধান প্রতিবেশী দেশে হিন্দু ও শিখদের মতো সংখ্যালঘুরা কতটা নিষ্পেষিত, তা তুলে ধরতে পরিসংখ্যানের সাহায্য নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">তাঁর দাবি, দেশ ভাগের সময় পাকিস্তানে হিন্দু ছিল মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ। এখন সেটি কমে গিয়ে ৩.৭ শতাংশ। বাকিরা কোথায় গেল? সবাই তো ভারতে আসেনি! মানে, তাদের জোর করে ধর্মান্তর করানো হয়েছে। হিন্দুদের হেয় করা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বলে গণ্য করা হয়েছে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">তারা কোথায় যাবে? আমাদের সংসদ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কি এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল না?</p> <p style="text-align: justify;">বাংলাদেশে ১৯৫১ সালে হিন্দু ছিল মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ। এখন সেটি কমে ১০ শতাংশ। বাকিরা কোথায় গেল? ১৯৯২ সালে আফগানিস্তানে দুই লাখ শিখ ও হিন্দু ছিল। এখন তাদের সংখ্যা মাত্র পাঁচ। নিজস্ব ধর্মবিশ্বাস নিয়ে বাঁচার অধিকার কি তাদের নেই? ভারত যখন অখণ্ড ছিল, তখন এসব মানুষ আমাদেরই অংশ ছিল। আমাদের নিজেদের ভাই-বোন এবং মায়েরা।</p> <p style="text-align: justify;">এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে শিয়া, বালুচ ও আহমদিয়ার মতো সংখ্যালঘু মুসলিমদের কথা। তারাও অত্যাচারিত। তামিলনাড়ুর শাসকদল, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিরোধী দল ডিএমকে প্রশ্ন তুলেছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা মুসলিমরা যদি ভারতে ফিরতে চায়, তাহলে কী করবে ভারত? তাদের কি নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, না হবে না?</p> <p style="text-align: justify;">অমিত শাহর বক্তব্য, সারা বিশ্বে একটি মুসলিম ব্লক রয়েছে, এরা সবাই তার অংশ। তা ছাড়া মুসলিমরাও তো ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে। সংবিধানে সেই সংস্থান রয়েছে। তারা আবেদন করলে ভারত সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয় মাথায় রেখে সেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। আর সিএএ নিয়ে বলতে গিয়ে অন্তত ৪১ বার বলা হয়েছে যে ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা সিএএ কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। এটি শুধু প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও পার্সির মতো সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার আইন।</p> <p style="text-align: justify;">সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে তিনি বারবার বলেছেন, এখন যাদের সিএএ পোর্টালে দরখাস্ত করতে বলা হচ্ছে, সেই দরখাস্ত করা মানে তারা নাগরিক থাকা সত্ত্বেও বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবে। সিএএর বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করেছেন অমিত শাহ। সিএএর পক্ষে সওয়ালও করেছেন। তৃণমূলের বক্তব্য, অনুপ্রবেশের কথা বলে অমিত শাহ সেমসাইড গোল করছেন। অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দায়িত্ব তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। কারণ সীমান্তে রয়েছে বিএসএফ। কলকাতা পুলিশ অথবা রাজ্য পুলিশ তো সীমান্ত দেখে না। তাহলে বিএসএফ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারছে না। তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহ ব্যর্থ! এত অনুপ্রবেশ হয়েছে! তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে অমিত শাহ কী করেছেন? এটি হলো তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রদের বক্তব্য। তাঁরা আরো বলছেন, আপনারা তো বিএসএফের ক্ষমতা বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করেছেন। এতে রাজ্যের ভূমিকাটি কোথায়? রাজ্যে কোন দল ক্ষমতায় আছে? এর সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষার সম্পর্ক কী? সিএএর সঙ্গে ডিটেনশন ক্যাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই যুক্তিটি মানতে চাইছে না তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, অমিত শাহ প্রকাশ্যে বলেছিলেন, সিএএ হলে এনআরসি হবে। তিনি এখন কেন অন্য কথা বলছেন? তাহলে মুখে এক রকম বলছেন আর মতলব অন্য রকম? এসব নিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পরিস্থিতিটা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে।</p> <p style="text-align: justify;">কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কি লোকসভা নির্বাচনের আগে উল্টো সুর নিচ্ছেন? এ কথাও সংবাদমাধ্যম বলছে। কেননা অমিত শাহ সাড়ে চার বছর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ক্রোনোলজিটা বুঝে নিন। প্রথমে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ, তার পরে হবে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি অর্থাৎ এনআরসি। তাহলে এই দুটি একসঙ্গে যুক্ত। এখন উল্টো সুর। ২০২৪ সালে অমিত শাহ বলছেন, এই আইনের সঙ্গে এনআরসির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এনআরসি রূপায়ণ করার কোনো উপায় নেই। এখন ভোল বদলে উল্টে তিনি বিরোধীদের নিশানা করেছেন।</p> <p style="text-align: justify;">অমিত শাহ বলছেন, এনআরসি আর সিএএ নিয়ে একসঙ্গে প্রচার চালিয়ে কী পেতে চাইছেন বিরোধীরা? সিএএর কারণে লোকের নাগরিকত্ব যাবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, সেটি রাজনীতির স্বার্থে—এই বলে অমিত শাহ পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন।</p> <p style="text-align: justify;">এনআরসি নিয়ে টানা সাড়ে চার বছর এককথা বলার পরে এখন ভোটের মুখে অমিত শাহর এই ভোল বদলটা কি লোক-দেখানো? এটি বলছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা সংসদে বিল পাস হওয়ার প্রায় সাড়ে চার বছর পরে বিজ্ঞপ্তি জারি হলো। তাহলে এত দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো না কেন? আসামে এটি করতে গিয়ে আরো বিপদ হয়েছে। সেখানে বহু হিন্দু, যারা অসমিয়া নয়, যেমন—বাঙালি হিন্দু বিপদে পড়েছে। তারা অভিযোগ জানাচ্ছে। আসামে বিষয়টি ঠিক হিন্দু-মুসলিমের থেকেও বেশি হয়ে উঠেছে অসমিয়া এবং অ-অসমিয়া।</p> <p style="text-align: justify;">কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিশ্রুতি বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন এখানে বাড়ছে সিএএ সংক্রান্ত জটিলতাও। এখন যা দাঁড়াচ্ছে, তাতে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টিও কিন্তু মোটেও সহজ নয়। অমিত শাহর মন্তব্যে সাধারণ মানুষের মধ্যেও সিএএ আতঙ্ক আরো বেড়েছে। এত দিন মোদি সরকারের দাবি ছিল সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। এই নাগরিকত্ব পেতে কোনো নথিপত্র জমা দিতে হবে না। সিএএ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে নাম-পরিচয়ের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে আবেদন করলেই চলবে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, গোটা ব্যাপারটি পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া থেকে কোনো অংশে কম নয়। এ ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের আবেদন করার পর ডাক পড়বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দপ্তরে। নির্ধারিত দিনে দেখা করে ইন্টারভিউ দিতে হবে কেন্দ্রীয় কর্মকর্তার সামনে। দেখাতে হবে নথিপত্র। পরীক্ষা করে যদি আধিকারিকরা মনে করেন, ওই নথি এবং আবেদনপত্রের দাবি সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাহলেই মিলবে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। আর যাদের আবেদনপত্র খারিজ হবে, তাদের কী হবে?</p> <p style="text-align: justify;">আসামে এনআরসির সময় দেখা গিয়েছিল, একই নথি কোনো একজন নাগরিকের ক্ষেত্রে বৈধতা পেলেও অন্য কারো জন্য সেটি মান্যতা পায়নি। এর ফলে তারা এক মুহূর্তের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী হয়ে গেছে। অর্থাৎ তারা বিদেশি হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু হবে না তো? এখন এই প্রশ্নও উঠেছে। সিএএর ভিত্তিতে যারা নাগরিকত্ব পাবে না বা যাদের নথিপত্র থাকবে না, তাদের কি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে বিবেচনা করা হবে?</p> <p style="text-align: justify;">অমিত শাহ বলছেন, যাদের নথিপত্র নেই, তাদের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। উদ্বেগের কারণ নেই, আমরা তাদের কথাও ভাবব। তবে এখন সিএএ প্রক্রিয়া কার্যকর হওয়ার মধ্যেই না-বলা একঝাঁক শর্ত রয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, নাগরিকত্ব একটি জীবন-মরণ সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকছে না কেন? বিভিন্ন বিরোধী রাজ্য প্রতিবাদ জানিয়ে দিয়েছে। তারা বলে দিয়েছে, তারা সিএএ কার্যকর করবে না। তাহলে রাজ্যের সহযোগিতা ছাড়া এই সিএএ কিভাবে বাস্তবায়িত হবে?</p> <p style="text-align: justify;">স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, সংবিধানের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী নাগরিকত্ব নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনো অধিকারই নেই। সবই কেন্দ্রের ব্যাপার। বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানেন। এখন তিনি ভোটের ইস্যু তৈরি করতে চাইছেন। এটি বাস্তবে তাঁদেরও মানতে হবে। বাংলা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই অমিত শাহ সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক। আর এখানে আসছে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। অমিত শাহ বলেছেন, ‘বাংলায় আমরা ক্ষমতায় আসব। তার পরেই আটকে দেব অনুপ্রবেশ। আসামে যেমন বন্ধ করেছি।’ কেন্দ্র বলছে, সিএএ কার্যকরের সঙ্গে এনআরসির কোনো সম্পর্ক নেই। ডিটেনশন ক্যাম্পেরও কোনো প্রশ্ন  নেই।  বলছে, সবই বিরোধীদের মিথ্যা চাল। কিন্তু ভোটের সময় আজ পশ্চিমবঙ্গে শুধু নয়, গোটা দেশে অনুপ্রবেশের ইস্যু বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">এখানে প্রশ্ন উঠছে, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আমাদের কাছে অত্যন্ত বেশি জরুরি। নরেন্দ্র মোদিও সেটি মনে করেন। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী রক্ষা করতে চান। নরেন্দ্র মোদি যখন এবার নির্বাচনী প্রচারে প্রথম কলকাতায় এসেছিলেন, তিনি কিন্তু একবারের জন্যও নাগরিকত্বের বিষয়টি উত্থাপন করেননি। তারপর ক্যাবিনেট বৈঠক হলো। অনেকে বলছে, অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির চেয়েও দল বিজেপি উৎসাহী ছিল এই বিষয়ে। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চাইছেন। এই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে গিয়ে অনুপ্রবেশ নিয়ে বিতর্ক বাড়িয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক যদি তার মধুরতা হারায়, তাহলে লাভ কার?</p> <p style="text-align: justify;">আজ বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের বৈরিতা শুরু হয়েছে। তাদের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব বিপন্ন। তার মধ্যে আছে চীন ও পাকিস্তানের অক্ষ। এই অবস্থায় এই বিষয়টি নির্বাচনী রাজনীতির জন্য কতটা প্রয়োজন আর আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারতের ভাবমূর্তি ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রক্ষার প্রশ্নে কতটা অপ্রয়োজনীয়, সেটা নিয়ে কিন্তু বিতর্কটা থেকেই যাচ্ছে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>লেখক :</strong> নয়াদিল্লিতে কালের কণ্ঠ’র বিশেষ প্রতিনিধি</p> </article>