<p style="text-align: justify;">পঞ্চাশের দশকের আমেরিকা। গোটা পৃথিবী তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতায় এক শোচনীয় পরিণামের সাক্ষী। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা এবং সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে শীতল স্নায়ুযুদ্ধ আমেরিকাকে তখন অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক টানাপড়েনের সম্মুখীন করেছে। ঐশ্বর্য, সম্পদ এবং চাকচিক্যময় জৌলুসের আড়ালে আত্মিকভাবে অসার এক বাস্তবতা সর্বদা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে বিদ্ধ করে চলেছে।</p> <p style="text-align: justify;">সেই বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি এক স্বপ্নচারী জীবনপথিকের স্বপ্নালু দৃষ্টিপথকে সমুদ্রের অতলে যাত্রা করা ঢেউ এর তীরে আছড়ে পড়ার মতো আঘাত করে, যে আঘাত তাঁকে টেনে নিয়ে যায় জীবনের দ্বারপ্রান্তে। বলছিলাম বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী নারী কবি সিলভিয়া প্লাথের কথা। আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী ক্ষণজন্মা এই কবির বিষাদ রূপময় জীবনের পরিসমাপ্তিও ঘটেছিল তাঁর নিজের হাতেই।</p> <p style="text-align: justify;">জীবদ্দশায় প্রকাশিত ‘দ্য বেল জার’ উপন্যাসটি তাঁর কাব্যরূপময় বিষাদগ্রস্ত জীবনের এক অনুপম দলিল।</p> <p style="text-align: justify;">আংশিক আত্মজৈবনিক হিসেবে এটি আখ্যায়িত হলেও উপন্যাসটি আক্ষরিক অর্থেই আত্মজৈবনিক।  অসাধারণ উপমা এবং রূপকের যথাযথ ব্যবহার তাঁর লেখনীকে করেছে অনন্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখনীর সঙ্গে প্লাথের লেখনীর বেশ কিছুটা সাদৃশ্য আছে। পরিস্থিতির উপযোগী উপমা এবং রূপকের ব্যবহার, মনস্তাত্ত্বিক এবং পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে প্রকৃতির একটি চমৎকার সামঞ্জস্য ঘটিয়ে বর্ণনরীতি, সূক্ষ্ম রসবোধের মাধ্যমে প্রচণ্ড শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির বর্ণনা প্রদান—উভয়ের সাহিত্যরীতিতেই পরিলক্ষিত হয়।</p> <p style="text-align: justify;">উপন্যাসটিতে প্লাথের সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ তারুণ্যময় মানসিকতা, নারীত্বজনিত হাহাকার এবং তৎকালীন সমাজব্যবস্থার এক বাস্তব প্রতিফলন পাওয়া যায়। বইটিতে ‘Esther Greenwood’ ছদ্মনামে তিনি নিজেকে পরিচিত করে তোলেন পাঠকের কাছে। আত্মজৈবনিক উপন্যাসটিতে প্লাথ মনের আজন্ম লালিত ইচ্ছাটির সঙ্গেও পাঠককে একাত্ম করে নেন যে তিনি একটি উপন্যাস রচনা করতে চান তাঁর জীবন, মানসিকতা, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ নিয়ে। সেখানে তিনি এমন একটি ইচ্ছা পোষণ করেন যে তাঁর রচিত উপন্যাসের চরিত্রের ছদ্মনাম হবে ছয় অক্ষরের। কেননা Esther শব্দটিও ছয় অক্ষরের।</p> <p style="text-align: justify;">মজার বিষয় হচ্ছে, Silvia শব্দটিও ছয় অক্ষর দিয়েই গঠিত https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2023/11.November/03-11-2023/2/kalerkantho-sl-1a.jpgবোস্টনের এক শহরতলিতে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া সিলভিয়া প্লাথ মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবাকে হারান। উপন্যাসটিতে মায়ের সঙ্গে তাঁর আদর্শগত এবং মানসিকতার দ্বন্দ্ব, যার সঙ্গে অকালপ্রয়াত বাবার প্রতি তাঁর ভালোবাসা বা ভরসার স্থানটি হারানোর যে আকুতি—তার  সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায়। শিক্ষাজীবনের একেকটি ধাপ সাফল্যের সঙ্গে অতিক্রম করে, বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে পা রাখার পরপরই নিউ ইয়র্ক শহরে একটি ফ্যাশন ম্যাগাজিনের ইন্টার্ন হিসেবে দুই মাস চাকরি করার জন্য আসেন তিনি ১৯ বছর বয়সে এবং তখন থেকেই আমাদের উপন্যাসের কালপঞ্জি শুরু।</p> <p style="text-align: justify;">তারুণ্যের ঠিক প্রাক্কালে নিউ ইয়র্ক শহরের গোলকধাঁধাসদৃশ জন-অরণ্যে এসে প্লাথ অদ্ভুত এক বাস্তবতার মুখোমুখি হলেন। মধ্যবিত্ত ঘরে যে সমস্ত বস্তুগত অপ্রাপ্তির সম্মুখীন তাঁকে হতে হয়েছে, নতুন শহরে সেসব অপ্রাপ্তি ঘুচে গেলেও এমন কিছু অপ্রাপ্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে, যা তাঁর জন্য পীড়াদায়ক। বড্ড তাড়া সবার, কিসের পেছনে যেন সবাই ছুটে চলেছে। সবার আচরণ এবং চিন্তা-ভাবনা, সমস্তই কেমন মেকি, দুরূহ এবং স্বার্থান্বেষী। উপন্যাসে তাঁর এই মোহভঙ্গের বিষয়টি বেশ কিছু স্মৃতিচারণার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। শৈশব ও কৈশোরের নির্মল, শান্তির এবং অল্পেই সন্তুষ্ট স্বপ্নবিলাসী ছোট্ট মেয়েটি কল্পনার বড় হয়ে যাওয়াকে এত কঠোরভাবে মনোজগতে আঘাত করতে দেখে, যা তাঁর হৃদয়কে দুমড়ানো কাগজের নৌকার মতো করুণ করে তোলে। প্রকৃতির কোল ঘেঁষে, সাহিত্যের আশ্রয়ে আজন্ম লালিত সংবেদনশীল একটি হৃদয় নিয়ে প্লাথ শহুরে এই বাস্তবতার সঙ্গে একদমই খাপ খাইয়ে নিতে পারছিলেন না। পাশাপাশি নারীত্বজনিত সমাজ নির্ধারিত প্রতিকূল পরিস্থিতি কঠোর বাস্তবতার সঙ্গে তাঁর এই অভিযোজনকে কঠোরতর করে তুলছে।</p> <p style="text-align: justify;">তৎকালীন যুদ্ধবিধ্বস্ত সমাজব্যবস্থায় নারীদের জন্য সব কিছু ছিল প্রতিকূলে। নারী হয়ে জন্মানোর অর্থই তাকে কৈশোর ও তারুণ্যজুড়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে একজন উপযুক্ত পাত্রের উপযোগী হওয়ার এবং স্বামীর উত্তরাধিকারীদের যথোপযুক্ত জননী হয়ে ওঠার। একই সঙ্গে ‘সামাজিক বিচারে’ বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং ‘সতীত্ব’-এর সার্বিক মাপকাঠিতেও তাকে উত্তীর্ণ হতে হবে। বিষয়গুলো প্লাথকে মর্মাহত এবং ব্যথিত করে। উপন্যাসে এই নারীত্বর অন্তর্দহনকে প্লাথ যেভাবে প্রকাশ করেছেন, তাতে একজন কোমল হৃদয়, কিন্তু প্রচণ্ড আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নারীর মনোজগৎকে আমরা চমৎকারভাবে বিশ্লেষণ করতে পারি।<br /> তথাকথিত শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির পেছনে প্লাথ ছোটেননি, বরং মানসিক সৌন্দর্যের আকর্ষণীয় আবেদন ছিল তাঁর। কিন্তু নিউ ইয়র্কের পুরুষ পরিমণ্ডলে এই আবেদন তাঁকে কাঙ্ক্ষিত করে তুলতে পারেনি। <br /> তৎকালীন নারীসমাজ যে ধরনের আবেদনের মাধ্যমে পুরুষদের আকৃষ্ট করত, যে ধরনের বিনোদন গ্রহণে নিজেদের উৎফুল্ল রাখত, তা তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারত না। উপরন্তু নিজের আশৈশব বাগদত্ত প্রেমিকের ধূর্তামি এবং দ্বিচারী মনোভাব তাঁকে চরম হতাশ করে। উপন্যাসে একটি ছদ্মনামের আড়ালে তাঁর বাগদত্ত প্রেমিককে তিনি আড়ালে রাখলেও যক্ষ্মায় আক্রান্ত চিকিৎসক পুরুষটির মানসিকতার মধ্য দিয়েই তিনি তৎকালীন সমাজের পুরুষমহলের চিন্তা-ভাবনা এবং মানসিকতাকে পাঠকের সামনে উন্মুক্ত করে দেন। দিনের পর দিন একনিষ্ঠ ‘ভালো মেয়ে’ হয়ে থাকতে থাকতে যেন খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লেন। স্বাধীনচেতা অবাধ্য হৃদয়কে অদৃশ্য শৃঙ্খলের বেড়াজালে বন্দি করে রাখতে রাখতে ভেতরের প্রবল জীবনমুখী সত্তাটিকে যেন হারিয়ে ফেলতে লাগলেন প্লাথ।</p> <p style="text-align: justify;">এরূপ পরিস্থিতিতে সংঘটিত আরো দুটি বিষয় যেন কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দিল। সেগুলো হলো শুধু ঘৃণার ফলে একজন পুরুষ দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়া এবং লেখালেখির জন্য একটি বিশেষ কোর্সে ইচ্ছা সত্ত্বেও ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া হওয়া। ফলে বিষণ্নতার বিষবাষ্প তাঁর জীবনের সমস্ত অর্থ, অনুপ্রেরণা এবং রসদকে পঙ্কিলতায় ঢেকে দিতে থাকে। অসহায় মা, মেয়ের করুণ পরিস্থিতি দেখে মানসিক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। শহরের নামি চিকিৎসক প্রচুর অর্থের বিনিময়ে ‘শক ট্রিটমেন্ট’-এর মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে, যা তাঁর জন্য উল্টো ভীতিকর এক অভিজ্ঞতায় পর্যবসিত হয়। নির্ঘুম রাত্রি যাপন, অভুক্ত থাকা, ‘জীবনের সমার্থক’ কবিতার কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরে যেতে দেখা— সব কিছু বিভীষিকাস্বরূপ হাজির হয় তাঁর জীবনে। ফলে প্রথমবারের মতো তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ঘুমের ওষুধ সেবনের মাধ্যমে।</p> <p style="text-align: justify;">সে যাত্রায় তাঁকে বাঁচিয়ে তোলা হয়। উপন্যাসে তৎকালীন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা একজন মানসিক অসুস্থ নারীকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক যে চরম বৈষম্য এবং বিদ্বেষের আবহের মধ্যে বসবাস করতে হয়, সেটি নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">বর্তমানে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা বাস্তব ক্ষেত্রেও মানসিক অসুস্থতা নিয়ে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম দেখি। পশ্চিমা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সেই সচেতনতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা আরো ব্যাপক। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আজকের এই পুঁজিবাদী সংস্কৃতি এবং কৃত্রিমতায় পরিপূর্ণ ভোগবাদী, প্রতিযোগিতামূলক সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া সম্ভবপর হয় না। জীবনকে যাপনের সমস্ত প্রক্রিয়াই এখন হৃদয় দিয়ে করার চেয়ে অন্যের মনোরঞ্জনের জন্য চালিত হয়ে থাকে। এভাবে জীবন যাপন করতে করতে এক পর্যায়ে মানুষ যখন বুঝতে পারে যে জীবনের প্রকৃত অর্থ থেকে সে ক্রমেই দূরে সরে গেছে, তখনই তার সাজানো তাসের ঘর ভেঙে পড়ে, যা ক্রমান্বয়ে জন্ম দেয় মানসিক বিষণ্নতার।</p> <p style="text-align: justify;">তৎকালীন সমাজে বিদ্যমান ‘বর্ণবাদ’ কিংবা ‘সমকামী বিদ্বেষ’সংক্রান্ত বিষয়গুলোও উপন্যাসে প্লাথের বর্ণনাভঙ্গিতে প্রকাশ পেয়েছে। তবে এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে প্লাথের এই সমকামিতাবিদ্বেষ তাঁর অবদমিত ভিন্নধর্মী যৌন কামনারই একটি প্রচ্ছন্ন প্রতিফলন। তবে তখন যে প্রচলন ছিল অবিবাহিত নারীদের যেকোনো মূল্যেই সতীত্ব রক্ষায় মনোযোগী থাকতে হবে, সেই অদৃশ্য শৃঙ্খল থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টাও তিনি করেছিলেন অত্যন্ত স্বল্প পরিচিত একজন পুরুষের সঙ্গে মিলিত হওয়ার মাধ্যমে। কিন্তু অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা না করে গৃহীত তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তটির জন্য বহু কাঙ্ক্ষিত সেই অভিজ্ঞতাটি মোটেই তাঁর জন্য সুখকর হয়ে ওঠেনি। এভাবে প্লাথের জীবনের একান্ত ব্যক্তিগত এবং ধূসর অনেক বিষয়ই অকপটে প্রকাশিত হয়েছে আত্মজৈবনিক এই উপন্যাসে।</p> <p style="text-align: justify;">এমনকি বিবাহ নামক চুক্তিপত্রকেও প্লাথ তাঁর স্বাধীনতার অন্তরায় বলে মনে করেছেন। এ ছাড়া মাতৃত্বকে নারীর ওপর যেভাবে আরোপ করে দেওয়া হয় বা নিজের জীবনকে যাপনের প্রকৃত সুযোগ না দিয়ে যেভাবে মাতৃত্বকে এক মহান দায়িত্ব হিসেবে পালন করতে কখনো তাকে বাধ্য করা হয়, সমস্ত প্রক্রিয়াকেই অমানবিক বলে মনে করতেন তিনি। মূলত আমরা এখন নারীবাদের যে উত্থান দেখি বিশ্বজুড়েই, নারীবাদের সেই প্রাথমিক ধারণাটিকে কবিতার অলৌকিক, নৈসর্গিক অলিগলির মাধ্যমে প্লাথই পুরো বিশ্বের কাছে পরিচিত করে তুলেছিলেন। প্লাথ যে নারীবাদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, সেটি আজও কাব্যিক মন এবং আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নারীদের আলোকবর্তিকা হয়ে সঙ্গ দেয়।</p> <p style="text-align: justify;">২০ বছর বয়সে মানসিক অসুস্থতাকে জয় করে প্লাথ যদিও পৃথিবীর মুক্ত আলো-হাওয়ায় তাঁর হৃদয়কে মেলে ধরতে সক্ষম হন এবং প্লাথের জীবনপঞ্জির এই পর্যায়ে ‘বেল জার’ উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু মানসিক অসুস্থতা থেকে উত্তরণ ঘটলেও সমগ্র জীবনেই এক অন্ধকার হাতছানি তাঁকে তাড়া করে বেরিয়েছে। অকালপ্রয়াত বাবার জন্য আকুতি এবং ভালোবাসা, প্রকৃতি এবং সৌন্দর্যের প্রতি প্রেম, অস্তিত্বের টানাপড়েন ও হৃদয়ের ব্যগ্র দুঃখবোধকে তিনি কলমের আঁচড়ে প্রকাশ করেছেন, হয়েছেন বিশ্বনন্দিত। কিন্তু জীবদ্দশায় এই স্বীকৃতি পাননি। বিখ্যাত কবি টেড হিউজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছিলেন, জননী হয়েছিলেন দুই সন্তানের। কিন্তু স্বামীর পরকীয়া, কলুষিত দাম্পত্য এবং পরবর্তী সময়ে দুজনের বিচ্ছেদের বিষয়টি তাঁর পুরনো মানসিক অসুস্থতাকে পুনরায় শাণিত করে। উপরন্তু মাতৃত্ব-পরবর্তীকালীন শারীরবৃত্তীয় নানা অসামঞ্জস্যর দরুন তিনি ‘পোস্টপার্টেম ডিপ্রেশন’-এ ভুগতে শুরু করেন। এসব পরিস্থিতি তাঁকে বাধ্য করে জীবনের পরে যে অপার্থিব, অদেখা ভুবন আছে, সেই ভুবনে যাত্রা করতে। আর এভাবেই অবসান ঘটে এক অসীম সম্ভাবনার। এই ক্লেদাক্ত পৃথিবী যে সম্ভাবনার ভার<br /> বইতে অক্ষম।</p>