<p>এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ল্যাব স্টোরেজে পাখির হাড়গোড়গুলো। সম্প্রতি সেই হাড় জোড়া দেওয়ার পর চোখ কপালে বিজ্ঞানীদের। পাখির পূর্ণাঙ্গ কঙ্কাল দেখে বিস্ময়ে হাবুডুবু খেতে খেতে বুধবার বিজ্ঞানীরা ঘোষণা দেন, এটিই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিয়া বা প্রাগৈতিহাসিক যুগের ঈগলের জীবাশ্ম। যদিও পরে জানা যায়, এটি তোতা বা টিয়া প্রজাতির পাখি, যার ডাকনাম ‘স্কোয়াওকজিলা’।</p> <p>নিউজিল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এ পাখি আবিষ্কার করেছিলেন ইনেক্সেপ্যাকটাস নামে। প্রায় তিন ফুটের এ বিশাল পাখি লম্বায় প্রায় চার বছর বয়সী এক আমেরিকান ছেলের সমান। বিজ্ঞানীরা আরো জানিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে প্রচুর প্রাগৈতিহাসিক পাখির সন্ধান চালিয়েছেন তাঁরা, কিন্তু এত বড় পাখির জীবাশ্ম তাঁদের চোখে পড়েনি।</p> <p>বিজ্ঞানীরা পাখির দুটি পায়ের হাড়ের ওপর ভিত্তি করে এর বিশালাকার সম্পর্কে অনুমান করেছেন। সেই ধারণা অনুসারে, তাঁরা দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার জাদুঘর সংগ্রহশালা এবং স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়ামে রাখা এক পাখির কঙ্কালের সঙ্গে তুলনা করেছেন।</p> <p>২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের সেন্ট বাথানসে মাটি খুঁড়ে এই জীবাশ্ম পাওয়া যায়। যেখানে আরো নানা প্রজাতির পাখির হাড়ও ছিল। ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওন্টোলজিস্ট ট্র্যাভর ওয়ার্থির গবেষণামূলক কাজের সময় এক স্নাতক শিক্ষার্থী হাড়গুলোকে পুনরায় আবিষ্কার করেন।</p> <p>পরে প্রধান গবেষক ওয়ার্ল্ড ন্যাশনাল জিওগ্রাফিককে বলেছেন, ‘প্রথমে আমিও বুঝতে পারিনি এটি ঈগল না তোতা বা টিয়ার জীবাশ্ম। পরে নিজে সঠিকভাবে বোঝার পর সবাইকে জানাই, এটি ঈগল নয়, টিয়ার জীবাশ্ম। এ ধরনের পাখি সম্ভবত প্রাথমিক মায়োসিন যুগে বাস করত, যা প্রায় ২৩ কোটি থেকে ১৬ কোটি বছর আগের সময়।’</p> <p>গবেষকদের আরো দাবি, পাখিটি সম্ভবত উড়তে পারত না তার বেশি ওজনের জন্য। আস্ত একটা ভেড়া ছিল এদের রোজের খোরাকি। পেট ভরাতে নাকি অনেক সময় নিজের প্রজাতির অন্য তোতাও খেয়ে ফেলত সে। সূত্র : এনডিটিভি।</p>