<p>প্রচণ্ড শক্তিশালী নার্ভ না হলে এমন কাজ কেউ করতে পারবে না বলেই মনে করছেন অন্য পাইলটরা। কারণ মাঝ আকাশেই প্লেনটির একটি ইঞ্জিন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিনের খণ্ডাংশ সঙ্গে সঙ্গে প্লেনের জানালায় আঘাত করে এক যাত্রীর মৃত্যু ঘটায়। এর পরেও তিনি সেই বিধ্বস্ত প্লেন নিয়ে অন্য যাত্রীদের বাঁচিয়ে নিরাপদে অবতরণ করেন।</p> <p>ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন নেভির সাবেক পাইলট ট্যামি জো সাল্টস চালাচ্ছিলেন সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭-৭০০ প্লেন। তিনি ১৯৮৫ সালে মার্কিন নেভিতে যোগ দেন এবং এরপর বহু গুরুত্বপূর্ণ মিশন পরিচালনা করেছেন।</p> <p><img alt=\"\" src=\"/ckfinder/userfiles/images/hotjobs/Tammie-Jo-Shults-pilot_2.jpg\" style=\"float:right; height:241px; width:400px\" />আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যান্ত্রিক সমস্যায় প্লেনটির বামপাশের ইঞ্জিন বিধ্বস্ত হয় এবং এর একটি অংশ সরাসরি বাম ডানার ওপরের জানালায় আঘাত হানে। এতে একটি জানালা ভেঙে যায় এবং এক যাত্রীর মৃত্যু ঘটায়। এছাড়া আরো সাতজন যাত্রী সামান্য আহত হন এ ঘটনায়।</p> <p>তখনো প্লেনটি প্রায় ৩০ হাজার ফুট ওপরে আকাশে উড়ছিল। এ অবস্থাতে প্লেনটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর উপক্রম হয়। কিন্তু ৫৬ বছর বয়সী পাইলট তার দক্ষ হাতে তার নিয়ন্ত্রণ উদ্ধার করেন। তিনি বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় তথ্য দেন এবং এক ইঞ্জিন নিয়েই সফলভাবে জরুরি অবতরণ করেন।</p> <p>দক্ষতার সঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনটি নিয়ন্ত্রণ করে যাত্রীদের নিরাপদে অবতরণ করানো অত্যন্ত দুরুহ ছিল বলেই মনে করছেন বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও অন্যান্য পাইলটরা। আর এ কাজটি করতে সফল হওয়ায় সাবেক মার্কিন নেভির এ পাইলটকে তারা ‘লৌহমানবী’ খেতাবও দিয়েছেন।</p> <p><img alt=\"\" src=\"/ckfinder/userfiles/images/hotjobs/131565465.jpg\" style=\"height:361px; width:600px\" /></p>