<p>কয়েক বছর আগেও শ্রবণশক্তি হ্রাস মূলত বয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই চিত্র পাল্টে গেছে। বর্তমানে তরুণদের মধ্যেও শুনতে না পাওয়ার সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাধারণত বয়সজনিত কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাসকে সেনসরিনিউরাল হিয়ারিং লস বলা হয়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অল্প বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যার দ্রুত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে হেডফোন ব্যবহারের প্রবণতা।</p> <p>বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন। এর প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে অতিরিক্ত হেডফোন ও ব্লুটুথ ডিভাইসের ব্যবহার। দিনে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হেডফোন ব্যবহারের ফলে শ্রবণশক্তিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে উচ্চ শব্দমাত্রায় দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের কারণে শ্রবণ নার্ভ (অডিটরি নার্ভ) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।</p> <p>বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্নমানের সস্তা হেডফোন ব্যবহারের ফলে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। অনেক রোগী কানে বন্ধ ভাব, চাপ অনুভব, টিনিটাস অর্থাৎ কানে ক্রমাগত শোঁ শোঁ শব্দ শোনার মতো উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। এসব উপসর্গের মূল কারণ সেনসরিনিউরাল হিয়ারিং লস।</p> <p>শ্রবণশক্তি মানুষের জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। একবার তা নষ্ট হয়ে গেলে পুরোপুরি ফিরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এমনকি আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যেও স্বাভাবিক শ্রবণক্ষমতা পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করা যায় না। তাই কানের যত্ন নেওয়া ও হেডফোন ব্যবহারে সংযমী হওয়াই শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষার অন্যতম উপায়। </p> <p>সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন</p>