<p>বাতের ব্যথা ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা একটি রোগ। যা শরীরের জয়েন্টে ইউরিক এসিড জমে তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলে এবং তীব্র যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। সঠিক চিকিৎসা ও কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় মেনে চললে বাতের ব্যথা দূর করা সম্ভব। নিচে বাতের ব্যথা কমানোর কিছু উপায় তুলে ধরা হলো :</p> <p><strong>আদা চা</strong><br /> আদা চা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। গরম পানিতে চা-পাতা, চিনির সঙ্গে আদা কুচি দিয়ে চা তৈরি করুন এবং প্রতিদিন দুবার পান করুন। আপনি চাইলে দুধ চায়ের সঙ্গে আদা দিতে পারেন, তবে দুধ চা স্বাস্থ্যের জন্য ততটা উপকারী নয়।</p> <p><strong>গ্রিন টি</strong><br /> গ্রিন টিতে থাকা পলিফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তিন-চার কাপ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি ব্যথা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।</p> <p><strong>গরম ও ঠাণ্ডা পানির চিকিৎসা</strong><br /> বাতের ব্যথা কমানোর জন্য একটি সহজ পদ্ধতি হলো ঠাণ্ডা এবং গরম পানির সেঁক। গরম সেঁক রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, আর ঠাণ্ডা সেঁক প্রদাহ এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সহায়ক।  </p> <p><strong>খালি পায়ে হাঁটুন</strong><br /> বাতের ব্যথা কমানোর জন্য খালি পায়ে হাঁটা একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটি ব্যথা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাপের জুতা ব্যবহার করুন।</p> <p><strong>জাংকফুড থেকে বিরত থাকুন</strong><br /> একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খায়, তাদের বাতের ব্যথা হওয়ার প্রবণতা কম থাকে। তাই ভাজাপোড়া, ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।</p> <p><strong>হলুদের ব্যবহার</strong><br /> কাঁচা হলুদ বাতের ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিনের খাবারে হলুদ ব্যবহার করুন, বিশেষ করে তরকারিতে।</p> <p><strong>সরিষার তেলের ব্যবহার</strong><br /> সরিষার তেল জয়েন্টে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জয়েন্টে ব্যথা কমাতে কার্যকর।<br /> ১-২ কাপ সরিষার তেল হালকা গরম করে আক্রান্ত জায়গায় মালিশ করতে পারেন। তেলের সঙ্গে রসুনের পেস্ট মিশিয়ে নিতে পারেন।</p> <p>এই ঘরোয়া উপায়গুলো নিয়মিত মেনে চললে, ওষুধ ছাড়াই বাতের ব্যথা কমানো সম্ভব। তাই আপনি যদি বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চান, তবে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।</p> <p>সূত্র : হেলথ ডি স্পোর্টস ডট কম </p>