<p>সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঘুম, হেলদি ফুড, ব্যায়াম এই তিনটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে অনেকেরই রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ক্রল করা, মুভি দেখা আর দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা রীতিমতো যেন অভ্যাস হয়ে গেছে। এমন জীবনযাপনের কারণে ঘুমের ওপর প্রভাব পড়ছে। ঠিকমতো ঘুম হলে শরীর, মন দুটোই ভালো থাকে। আমাদের ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে এমন একটি হরমোন যার নাম ‘মেলাটোনিন’। ভালো ঘুমের জন্য এই হরমোনের পরিমাণ কিভাবে বাড়ানো যায়, চলুন জেনে নিই।</p> <p><strong>মেলাটোনিন কী?</strong></p> <p>মেলাটোনিন হরমোন পেনিয়াল গ্ল্যান্ডে তৈরি হয়। এটি আমাদের জেগে থাকা বা ঘুমানোর যে ন্যাচারাল বায়োলজিক্যাল সিস্টেম সেটি নিয়ন্ত্রণ করে। দিনের বেলা পেনিয়াল গ্ল্যান্ড সক্রিয় থাকে না। যখন অন্ধকার হয়, তখন শরীরে মেলাটোনিন বৃদ্ধি পায়। আলোতে মেলাটোনিন কমে যায় এবং আমরা জেগে যাই।</p> <p><strong>মেলাটোনিন কেন প্রয়োজন?</strong></p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে পারেন যে উপায়ে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/27/1722076176-a621f29f349f3e202aebc9777272212d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে পারেন যে উপায়ে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/07/27/1409241" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের শরীরকে ন্যাচারালি হিলিং ও রিপেয়ার করে। সাধারণত ঘুমের সময় নিউরোট্রান্সমিটার ও হরমোন নিঃসৃত হয়। যা সারা দিনের জন্য শরীরকে সতেজ রাখে। যখন আমরা ডিপ স্লিপ নিই, আমাদের বডি রিস্টরেটিভ ফাংশনে (যেমন- টিস্যু রিপেয়ার, ইমিউনিটি সিস্টেম সাপোর্ট) কাজ করে। কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে, মেলাটোনিনের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রপারটিজ আছে, যা হিলিং বা রিকভারি প্রসেসে ভূমিকা রাখে। এটি কিন্তু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই বুঝতেই পারছেন এই হরমোন কতটা জরুরি।</p> <p><strong>এই হরমোন কিভাবে বাড়ানো যায়?</strong></p> <p>ঘুমের একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলার মাধ্যমে মেলাটোনিন প্রাকৃতিক উপায়ে বৃদ্ধি করা যায়। ডিম, দুধ, মাছ, কলা, বাদাম, মাশরুম, আখরোট এগুলো মেলাটোনিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দুশ্চিন্তা না করা, স্ক্রিন টাইম লিমিটেড রাখা- এগুলোও আপনাকে সাহায্য করবে ঘুমের বায়োলজিক্যাল সিস্টেম ঠিক রাখতে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হরমোন নিয়ন্ত্রণে সকালের নাশতায় এই খাবারগুলো রাখুন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/01/27/1706435311-a0b8a07291389226504e30d3ec0d9ed0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হরমোন নিয়ন্ত্রণে সকালের নাশতায় এই খাবারগুলো রাখুন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/01/27/1358469" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>খেয়াল রাখুন কিছু বিষয়</strong></p> <p>১) সুগারি ফুড আইটেমস, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, স্পাইসি ফুড ও হেভি মিল কিন্তু এই ঘুমের হরমোনের কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে। স্লিপ প্যাটার্ন আর ন্যাচারাল বডি ফাংশন ঠিক রাখতে অবশ্যই রাত ৮টার মধ্যে ডিনার করে নিন। বেড টাইমের আগে হাই ক্যালোরি ইনটেক থেকে বিরত থাকুন।</p> <p>২) ব্রেকফাস্টের টাইম একেক জনের লাইফস্টাইল, শিডিউল, প্রেফারেন্স এগুলোর ওপর মূলত নির্ভর করে। কিন্তু ফিট থাকতে ঘুম থেকে ওঠার ১-২ ঘণ্টা পর ব্রেকফাস্ট করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় করণীয়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2023/09/16/1694851201-56d20c76b7d9da73dc4055468d1d69cd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় করণীয়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2023/09/16/1318566" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঘুমের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে কিছু বলার নেই। ঘুমের ঘাটতি হলে গ্লুকোজের বিপাক বাধাগ্রস্ত হয়, স্ট্রেস হরমোন বৃদ্ধি পায়, ফোকাস কমে যায়। ঘুম ভালো হলে মনটাও ভালো থাকে। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া ও ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করে ফেলুন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের জন্য কোনো ওষুধ গ্রহণ করবেন না। কারণ এর সাইড ইফেক্টস থাকে। তাই ন্যাচারাল ওয়েতে কিভাবে এই হরমোন বাড়ানো যায়, সেদিকে লক্ষ করুন। সুস্থ থাকুন, আনন্দে বাঁচুন।</p> <p>সূত্র : সাজগোজ</p>