<p>বাজারে যাওয়ার সময় খুব একটা হয় না। বাড়ি ফিরে রান্না করতেও ইচ্ছে করে না। এমন সময় ভরসা হিমায়িত খাবারে। সবধরণের মুখরোচক খাবার, সবজি, ফল থেকে শুরু করে মাংস, সবই হিমায়িত করে বিক্রি হয় দোকানে। দীর্ঘ দিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য সে সব খাবারে নানা রকম রাসায়নিক দেওয়া হয়।</p> <p>সম্প্রতি সারা বিশ্বে হিমায়িত খাবারের চাহিদা বেড়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, পরিশ্রম ও সময় বাঁচাতে এই ধরনের খাবারের প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস নানারকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে।</p> <p><strong>হিমায়িত খাবার খেলে যেসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে</strong></p> <p>১. হিমায়িত খাবার টাটকা রাখতে ব্যবহার করা হয় স্টার্চ। খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তুললেও এই স্টার্চ পরিপাক করা কঠিন। উদ্বৃত্ত এই স্টার্চ গ্লুকোজ়ে পরিণত হয়। গ্লুকোজ় রূপান্তরিত হয় শর্করায়। রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে বিপদ বাড়বে।</p> <p>২. হিমায়িত খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। নিয়মিত এই ধরনের খাবার খেলে হার্টের সমস্যা বাড়তে পারে। এই ট্রান্স ফ্যাট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা স্নেহপদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এসব কোলেস্টেরল জমে ধমনীর দেয়াল পুরু হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পিছনেও এই ধরনের খাবারের ভূমিকা রয়েছে।</p> <p>৩. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হিমায়িত খাবার বেশি খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে যারা প্রক্রিয়াজাত এবং হিমায়িত আমিষ খাবার বেশি খান, তাদের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যায়।</p> <p>৪. হিমায়িত খাবারে ‘মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট’ বা এমএসজি ব্যবহার করা হয়, যা এক ধরনের স্বাদ বর্ধক উপাদান। ফলে মাথাব্যথা, গলা-ফোলা সমস্যা এবং সারা শরীরে ঘাও দেখা দিতে পারে।</p> <p>৫. হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের মাধ্যমে প্রায় ৭০ শতাংশ সোডিয়াম গ্রহণের সম্ভাবনা থাকে। সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ রোগ হতে পারে।</p> <p>হিমায়িত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। সবসময় সতেজ ও টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। </p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার</p>