<p>অনেকই আছেন যারা চিনিযুক্ত খাবার খুব পছন্দ করেন। ক্ষুধা লাগলেই তাই প্রিয় ডেজার্টের চমৎকার স্বাদের কথা মনে পড়ে যায়। তবে চিনিযুক্ত খাবার আনন্দ আর তৃপ্তি দিলেও জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। আমারা অনেকই জানি না নিজের অজান্তে আমরা চিনির ওপর কতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। অধিক পরিমানে চিনি গ্রহণের পর আপনার শরীর আপনাকে বহু সংকেত পাঠাবে। </p> <p>* অতিরিক্ত চিনি আর্থ্রাইটিস বা বাত, চোখে ছানি, হৃদরোগ, দুর্বল স্মৃতিশক্তি বা কুঁচকে যাওয়া ত্বকসহ খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।</p> <p>* চিনি দ্রুত হজম হয়, ফলে খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরেও আপনি ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন। চিনি ‘ডোপামিন’ তৈরির ক্ষেত্রে বেশ পরিচিত। যাকে মাদকদ্রব্যে আসক্ত তৈরি করার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।  আপনি যত বেশি চিনি খাবেন আপনার শরীরের তত বেশি চিনি চাইবে। কারণ চিনিকে মস্তিষ্ক একটি ট্রিট বা পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করে। যা চিনিযুক্ত খাবার এবং অন্যান্য সুস্বাদু খাবারের আকাঙ্খা বাড়িয়ে দিবে। </p> <p>* গ্লুকোজ শরীরে শক্তি যোগায়, তাই রক্তে শর্করার একটি স্বাস্থ্যকর স্তর বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন মিষ্টি খান তখন অগ্ন্যাশয় কোষে গ্লুকোজ পরিবহনে সহায়তা করার জন্য ইনসুলিন নিঃসরণ করে। ফলে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত চিনি এই চক্রটির ওপর প্রভাব ফেলে, চক্রটি চলাকালীন আপনার শক্তির স্তর বাড়ে না উল্টো হ্রাস পায়। কারণ আপনার শরীর আরো চিনি চায়। তাই শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে চিনিযুক্ত এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা ভালো। </p> <p>* বেশি চিনিযুক্ত খাবার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং গ্লাইকেশন প্রক্রিয়া শুরু করে। ফলে প্রোটিন অণুর সঙ্গে চিনির সংযুক্তি ঘটে। এতে শারীরবৃত্তীয় কাজে সমস্যা শুরু হয় যা শেষ পর্যন্ত প্রদাহ এবং ত্বকের সমস্যা ঘটায়। নিয়মিত ত্বকের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়।</p> <p>* বেশি চিনিযুক্ত খাবার আস্তে আস্তে ওজন বাড়িয়ে দেয়। </p> <p>* নিঃসন্দেহে চিনিযুক্ত খাবার গহ্বর এবং দাঁতের সমস্যা বাড়িয়ে তুলবে।</p> <p>* নিয়মিত প্রচুর মিষ্টি খাবার খেলে আপনি মিষ্টি স্বাদে অভ্যস্ত পড়বেন। মিষ্টি ফল তখন আপনার কাছে ততটা মিষ্টি লাগবে না।</p> <p>*  ঘন ঘন ফ্লু এবং সর্দি-কাশিতে ভুগার কারণ হতে পারে চিনি।  </p> <p>* বিভিন্ন খাবার খাওয়ার পর অপ্রীতিকর গ্যাস এবং বদহজমের কারণে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে। বদহজম বা পেট ফোলর ক্ষেত্রে চিনি উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। চিনি সাধারণত গ্যাস উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে।</p> <p>সূত্র : এনডিটিভি</p>