<p>গরম চলে এসেছে। সূর্যের তেজ যেন কমতেই চায় না। এমন আবহাওয়ায় গরম আর আর্দ্রতা মিলিয়ে ঘাম হচ্ছে প্রচুর, আর সবচেয়ে বেশি ঘামছে মাথার ত্বক। ত্বক ঘেমে থাকলে চুল পড়ার সমস্যাও বেড়ে যায়। অন্যদিকে খুশকি, চুলকানি ইত্যাদি তো রয়েছেই। কিন্তু কিছু টিপস মেনে চললে এ সময়েও চুল পড়া বন্ধ কিংবা মাথার ত্বক ভালো রাখতে পারেন, জেনে নিন সেসব-</p> <p><strong>এক দিন পর পর শ্যাম্পু করুন</strong><br /> যদিও সপ্তাহে দুইবার কিংবা তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা ঠিক নয়, তবে গরমের সময় মাথার ত্বক ঘেমে গেলে উপায় নেই। চেষ্টা করুন এমন অবস্থায় এক দিন অন্তর শ্যাম্পু করতে। তবে শ্যাম্পু যাতে হালকা কোনো শ্যাম্পু হয় তা খেয়াল রাখুন। শ্যাম্পু তালুতে অল্প একটু ঘষে চুল ধুয়ে নিন। প্রতিবার চুলে কন্ডিশনার অবশ্যই লাগাবেন, তাতে স্ক্যাল্প আর চুল দুই-ই তরতাজা থাকবে।</p> <p><strong>সারাক্ষণ চুল বেঁধে রাখা যাবে না</strong><br /> চুল সারা দিন বেঁধে রাখা যাবে না। গরম এড়াতে অনেকেই এমনটা করে থাকেন।  যা একেবারেই অনুচিত। চুল সারাক্ষণ বেঁধে রাখলে চুলের গোড়ায় ঘাম জমে যায়। মাঝে মাঝে চুল খুলে বাতাসের নিচে বসুন, ভালো করে চুলটা শুকিয়ে নিন। প্রয়োজনে আবার বাঁধুন। তবে খেয়াল রাখুন ঘাম যেন না জমে। </p> <p><strong>ভেজা চুল বাঁধবেন না</strong><br /> চুল ভেজা অবস্থায় বেঁধে রাখলে চুলের ক্ষতি তো হয়ই, চুলের গোড়ায় ঘামও জমতে থাকে। চুল ভালো করে শুকিয়ে হালকা করে বেঁধে রাখবেন। খুব টাইট করে বাঁধলে গোড়ায় চাপ পড়ে চুল দুর্বল হয়ে যাবে।</p> <p><strong>মাঝে মাঝে হেয়ার মাস্ক</strong><br /> বিশেষ বিশেষ হেয়ার মাস্ক চুলে ঘাম আর তেল জমা কমাতে পারে। তিন টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ ডাবের পানি মিশিয়ে সেটা স্ক্যাল্পে ভালো করে ঘষে ঘষে মেখে নিন। ১৫ মিনিট রাখুন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাথার ত্বক পরিষ্কার হবে, চুলে একটা তরতাজা ঘ্রাণও থাকবে।</p> <p><strong>বাড়তি যত্নে টি ট্রি বা পেপারমিন্ট অয়েল</strong><br /> শ্যাম্পু বা তেল মাখার আগে তাতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল বা পেপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে নিন। এসব তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ, যা মাথার ত্বক ভালো রাখবে। </p>