<p>শারীরিকভাবে ফিট থাকতে কে না চায়। কিন্তু দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততায় শরীরের প্রতি অবহেলা করায় নানা রোগ-ব্যাধি আমদের জেঁকে ধরে। অনেকে শরীরচর্চা করলেও অল্পতে হাঁপিয়ে পড়ে হার মেনে নেন। তাদের জন্য শারীরিকভাবে ফিট থাকার একটি ভালো ব্যায়াম হতে পারে পিলাটিস। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে জোসেফ পিলাটিসের হাত ধরে এই ব্যায়ামের সূচনা হয়। অল্প অল্প করে গতিবিধি পরিবর্তনের মাধ্যমে শরীরের মাংসপেশি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রক্রিয়াকে পিলাটিস বলে।</p> <p>আগে এই ব্যায়াম বহির্বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেলেও ক্রমেই বাংলাদেশেও পিলাটিসের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। শরীরচর্চায় অন্য ব্যায়ামের থেকে পিলাটিসের রয়েছে কিছু বাড়তি উপকারিতা। ছোট ছোট গতিবিধির ব্যায়াম হওয়ায় পিলাটিসে শরীর সহজে ক্লান্ত হয় না। এতে হৃৎপিণ্ডের রক্তের অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ে, ফলে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরে শক্তি সঞ্চারিত হয়।</p> <p><strong>• </strong>পিলাটিসের গতিবিধি শ্বাস-প্রশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীরকে চাপমুক্ত রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।</p> <p><strong>• </strong>মাসিকের সময় অনেক নারী কমবেশি পেটে ব্যথায় ভোগেন। পিলাটিস এমন এক ধরনের ব্যায়াম, যেখানে শরীরে কোনো চাপ সৃষ্টি ছাড়াই ব্যায়াম করা হয়। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ব্যায়াম মাসিকের ব্যথা কমাতে সহায়ক।</p> <p><strong>• </strong>পিলাটিস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করে। </p> <p><strong>• </strong>পিলাটিস হাড়ের জটিল রোগ যেমন- অস্টিওপোরোসিস ও অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া শরীরের কোনো অংশে ব্যথা বা ক্ষত তাড়াতাড়ি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। </p> <p>তবে যেকোনো ধরনের ব্যায়াম করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভালো। </p> <p><strong>সূত্র : হেলথ লাইন</strong><br />  </p>