<p style="text-align: justify;">দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততা, ঘুমের অভাব ও বিভিন্ন কারণে ব্যক্তিগত জীবনে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শুধু মানসিক অশান্তিই সৃষ্টি করে তা নয়, স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তবে দৈনন্দিন জীবনের বেশ কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন আপনাকে দুশ্চিন্তামুক্ত হতে সহায়তা করবে। জেনে নিন ব্যক্তিগত জীবনে যেভাবে দুশ্চিতামুক্ত থাকবেন-</p> <p style="text-align: justify;"><strong>শারীরিক কসরত</strong><br /> ২০২১ সালে করা একটি গবেষণার তথ্য মতে, যারা প্রতিদিন শারীরিক কসরত করেন তাদের মধ্যে দুশ্চিতাগ্রস্ত হওয়ার প্রকোপ অন্যদের তুলনায় ৬০% কম। কসরত আমাদের মস্তিষ্কে সেরোটিনিন হরমোন নিঃসরণ করে, যা দুশ্চিন্তামুক্ত হতে সাহায্য করে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>ক্যাফেইন বর্জন</strong><br /> ক্যাফেইন মস্তিষ্কে আড্রেনালাইন হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয়। এই হরমোন চিন্তামুক্ত রাখতে কাজ করে। তাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্যাফেইন বর্জন করতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>পর্যাপ্ত ঘুম</strong><br /> বিশেষজ্ঞরা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ছয় ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। রাতে তাড়াতাড়ি শোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং ঘুমানোর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে মোবাইল, ল্যাপটপ বা টেলিভিশনের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>সুষম খাদ্য গ্রহণ</strong><br /> ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। অত্যধিক তেল বা চিনি জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে মনের ওপর প্রভাব ফেলে ও ক্লান্তিময় অনুভূতির সৃষ্টি করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি, মাছ, মাংসের মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম</strong><br /> শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মনকে স্থির করতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে কয়েক সেকেন্ড শ্বাস ধরে রেখে তারপর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে হবে। এভাবে বারবার করতে থাকতে হবে। এই ব্যায়াম মনকে শান্ত করার পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে।</p> <p style="text-align: justify;">এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।</p> <p style="text-align: justify;">সূত্র : <strong>হেলথ লাইন</strong></p>
