<article> <p style="text-align: justify;">অনেক সময় ঘুম থেকে উঠেই ঘাড়ে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। ঘাড় ঘোরানোও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা কেন হয় এবং কোন কোন নিয়ম মানলে এই সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব তা জেনে নেওয়া যাক।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথার কারণ</strong></p> <p style="text-align: justify;">► ঘুমের সময় শরীরের অস্বাভাবিক অবস্থান : দীর্ঘ সময় সোফায় হেলান দিয়ে ঘুমানো, ঘুমানোর সময় অস্বাভাবিক উঁচু বালিশ ব্যবহার করা, দীর্ঘ সময় মোবাইল বা টিভি দেখতে দেখতে চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়া, উপুড় হয়ে ঘুমানো এবং ঘাড়কে যেকোনো একদিকে বাকিয়ে রাখার কারণে ব্যথা হতে পারে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে ঘুমানোর কারণে ঘাড়ের মাংসপেশিতে রক্ত চলাচল সমস্যা হয়। এ কারণে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা অনুভব করতে পারেন।</p> <p style="text-align: justify;">► সঠিক নিয়মে বালিশ ব্যবহার না করা : হঠাৎ ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথার অন্যতম কারণ সঠিক নিয়মে বালিশ ব্যবহার না করা। সাধারণত আমরা মাথার নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমাতে অভ্যস্ত।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">কিন্তু এটি সঠিক পদ্ধতি নয়। এতে ঘাড় বাঁকা থাকে এবং মাথা ও ঘাড়ের রক্ত চলাচল কমে যায়। সঠিক নিয়ম হলো মাথা ও ঘাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে বালিশ রাখা। অতিরিক্ত শক্ত বা অতিরিক্ত নরম নয় এ জাতীয় বালিশ ব্যবহার করা।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">কাত হয়ে ঘুমালে বালিশটা কাঁধ ও ঘাড় বরাবর রাখা উচিত।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>অন্যান্য কারণ</strong></p> <p style="text-align: justify;">► হঠাৎ ঘাড়কে অস্বাভাবিক পজিশনে বাঁকানো।</p> <p style="text-align: justify;">► দীর্ঘ সময় ঘাড় বাঁকিয়ে বা সামনের দিকে ঝুঁকে কম্পিউটার বা প্রফেশনাল কাজে ব্যস্ত থাকা।</p> <p style="text-align: justify;">► অস্টিও আর্থ্রাইটিসজনিত সমস্যার কারণে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে।</p> <p style="text-align: justify;">► ঘাড়ের মেরুদণ্ডে দীর্ঘমেয়াদি হালকা ব্যথা, কোনো কারণে নার্ভে চাপ পড়ে হঠাৎ তীব্র ব্যথা হতে পারে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">► এ ছাড়া আঘাতজনিত কারণে যেকোনো সময় ঘাড়ে তীব্র ব্যথা হতে পারে।</p> <p style="text-align: justify;"><strong>ব্যথা হলে করণীয়</strong></p> <p style="text-align: justify;">► তাৎক্ষণিকভাবে তীব্র ব্যথা কমাতে দুই পাশের মাংসপেশি অথবা যে জায়গায় ব্যথা করছে সেখানে ঠাণ্ডা বা বরফ সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পুরো ১০ থেকে ১৫ মিনিট ঠাণ্ডা বরফ প্রয়োগ করতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">► দুই-এক দিনের মধ্যে উন্নতি না হলে নিয়মিত সকালে ও রাতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে।</p> <p style="text-align: justify;">► ব্যথা বাড়ায় এমন ভঙ্গিমা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।</p> <p style="text-align: justify;">► স্বাভাবিক ব্যথার ওষুধ খাওয়ার পরে দুই বেলা করে পাঁচ থেকে সাত দিন খাওয়া যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবন করার প্রয়োজন হতে পারে।</p> <p style="text-align: justify;">► তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ব্যথা না কমলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। সুনির্দিষ্ট ফিজিওথেরাপি এবং আরো কিছু অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ব্যথা সারতে পারে।</p> <p style="text-align: justify;">পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p style="text-align: justify;"><strong>ডা. মো. আহাদ হোসেন</strong></p> <p style="text-align: justify;">চিফ কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ</p> <p style="text-align: justify;">বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন ও পেইন ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা।</p> </article>