<p>ত্বকে চকচকে, ভেজা ভেজা ভাব বা একদম তাজা লুক তৈরির জন্য অনেকেই মেকআপের সময় হাইলাইটার বা অন্যান্য অনুসঙ্গ ব্যবহার করে থাকেন। তবে চাইলে কাঁচের মত স্বচ্ছ বা গ্লাস স্কিন পেতে পারেন প্রাকৃতিকভাবেই। চকচকে, স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে যথাযথ স্কিনকেয়ার রুটিন অনুসরণ করা প্রথম ও মৌলিক পদক্ষেপ। যেমনটা করেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। </p> <p>এ বলিউড অভিনেত্রীর চকচকে ত্বক দেখে মনে হতেই পারে তিনি হয়তো কোন হাইলাইটার ব্যবহার করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার এমন ত্বকের পেছনের রহস্য হচ্ছে নিয়ম মেনে অনুসরণ করা স্কিন কেয়ার রুটিন। ত্বকের পরিচর্যায় আলিয়া ভাট অনুসরণ করেন একটাই পদ্ধতি। যাকে তিনি নাম দিয়েছেন ‘সিটিএম’ , এর অর্থ হচ্ছে- ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং। </p> <p>সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রোফাইলে আস্ক মি এনিথিং নামে একটা সেশনে আলিয়া ভাট তার ত্বক ভালো রাখার রুটিন সম্পর্কে বলেছেন। তিনি কিভাবে ত্বকের চর্চা করেন সে ব্যাপারে ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। <br /> তাঁর মতে, যদি কেউ স্কিন কেয়ার সম্পর্কে একদমই অজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে তিনি শুরুটা করতে পারেন সিটিএম পদ্ধতি দিয়ে। এটি খুবই কার্যকর পদ্ধতি ত্বক ভালো রাখার ক্ষেত্রে। মাত্র তিন ধাপে শেষ হওয়া এ ত্বকচর্চা স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করবে যে কাউকে। </p> <p>আলিয়া ভাটের মতে, ত্বক ভালো রাখতে প্রথমেই ক্লিনজিংয়ের কথা বলা হয়।  এটি ত্বকের ময়লা, মেকআপ, জমে থাকা তেল সব দূর করতে সাহায্য করে। এর পরের ধাপে টোনিং রয়েছে। যার মাধ্যমে ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক থাকে। নিয়মিত টোনিংয়ের কারনে ত্বক টানটান থাকে, পোরস সংকুচিত হয় এবং ক্লিনজিংয়ের পরেও যদি ত্বকে ময়লা থেকে থাকে সেটিও দূর হয় টোনিংয়ের মাধ্যমে। </p> <p>সবশেষে ময়েশ্চারাইজিংয়ের কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী। তার মতে, ত্বকের জন্য জুতসই ময়েশ্চারাইজার সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকরে রাখে সজীব। এমনকি তৈলাক্ত ত্বকেও প্রয়োজন যথাযথ ময়েশ্চারাইজার। <br /> তবে ত্বক ভালো রাখতে এসবের বাইরেও সিরাম, ফেস অয়েল, ফেস মিস্ট ইত্যাদিও ব্যবহার করতে পারেন কেউ চাইলেই। নতুনদের জন্য বেসিক স্কিনকেয়ার রুটিন সিটিএম হলে শুরুটা সহজ হবে বলেই পরামর্শ দেন এ অভিনেত্রী। </p> <p><em>সূত্র: ভোগ ইন্ডিয়া</em><br />  </p>