<p><strong>এইডস রোগে চোখের জটিলতা</strong></p> <p>পৃথিবীতে যে কয়েকটি ভাইরাস মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ সেসবের মধ্যে একটি হলো এইচআইভি। এই ভাইরাসের মাধ্যমে মারণব্যাধি এইডস বাসা বাঁধে মানবশরীরে। এই রোগের শরীরে সব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে রোগীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়। তাই মরণাপন্ন এই রোগ সম্পর্কে পৃথিবীবাসীকে সচেতন করতে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব এইডস দিবস।</p> <p><strong>যেভাবে ছড়ায়</strong></p> <p>এইচআইভি ভাইরাস একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে রক্ত সঞ্চালন, এইচআইভি আক্রান্ত সুঁই ও যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে। এ ছাড়া এইচআইভি বহনকারী নারী থেকে গর্ভাবস্থায় ও প্রসবকালীন তাঁর সন্তানের মধ্যে এই ভাইরাস বিস্তার লাভ করতে পারে। এইডস তখনই হয়, যখন এইচআইভি সংক্রমণের কারণে কারো রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। এর ক্ষতিকর প্রভাব মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর পড়ে।</p> <p><strong>সমস্যা দেখা দেয় চোখেও</strong></p> <p>এইচআইভি বা এইডস সংক্রামিত প্রতি ১০ জন ব্যক্তির মধ্যে সাতজন তাদের চোখের মধ্যে এইচআইভি জটিলতা অনুভব করে। এর মানে হলো এইচআইভির সঙ্গে বসবাসকারী প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ তাদের চোখে সমস্যা অনুভব করে। এইচআইভি বা এইডস রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় রেটিনায় রক্তক্ষরণ। এটি প্রথমে উল্লেখযোগ্য উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে না, কিন্তু এটি বিস্তার লাভ করলে এই চোখের ব্যাধি কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।</p> <p><strong>রেটিনায় রক্তক্ষরণের উপসর্গ</strong></p> <p>* বিবর্ণ দৃষ্টি </p> <p>* চোখে ব্যথা</p> <p>* চোখ দিয়ে পানি পড়া</p> <p>* চোখ লাল হওয়া</p> <p>* চোখের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া</p> <p>এ ছাড়া চোখের ক্যাপোসি সারকোমা রেটিনার প্রদাহ টক্সো প্লাজমা, দূরে ও কাছে কম দেখা, ক্যানডিডা, লিম্ফোমা, রেটিনায় রক্তক্ষরণ, রেটিনা ছিঁড়ে যাওয়া, চোখের রগ শুকিয়ে যাওয়া, চোখের হারপিস, কর্নিয়ার প্রদাহ, আইরিসের প্রদাহ নামক রোগ হয়ে থাকে।</p> <p><strong>করণীয়</strong></p> <p>কেউ যদি এইচআইভি বা এইডস রোগে সংক্রমিত হয়ে থাকে, তবে তাকে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ দ্বারা নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করাতে হবে।</p> <p>পরামর্শ দিয়েছেন—</p> <p>ডা. মো. আরমান হোসেন রনি</p> <p>চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন</p> <p>জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, আগারগাঁও, ঢাকা।</p>
